মৎস্যজীবী মৃত্যুকাণ্ডে চাঞ্চল্য, বাংলাদেশি নৌসেনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

Published By: Khabar India Online | Published On:

বঙ্গোপসাগরের জলে লুকিয়ে থাকা ভয়াবহ সত্য একে একে সামনে আসছে। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর হামলার অভিযোগের মধ্যেই ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে উদ্ধার হল দুই মৎস্যজীবীর নিথর দেহ, যা নতুন করে একাধিক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।

বাংলাদেশি নৌসেনার সঙ্গে সংঘর্ষের পর নিখোঁজ পাঁচ মৎস্যজীবীর মধ্যে সঞ্জীব দাস ও রঞ্জন দাসের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ট্রলারটির সন্ধান মেলে। পরে সেটিকে টেনে কাকদ্বীপের মানাপাড়া ডকে আনা হয়। ট্রলার থেকে জল বার করার সময় ইঞ্জিন ঘরের ভিতরেই পাওয়া যায় ওই দুই দেহ।

সঞ্জীব দাসের বাড়ি কাকদ্বীপের পশ্চিম গঙ্গারামপুরে এবং রঞ্জন দাসের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পূর্বখালির দুরাজপুরে। দেহ উদ্ধারের খবর পৌঁছাতেই পরিবার ও মৎস্যজীবী মহলে নেমে আসে শোকের ছায়া।

এই ঘটনায় ১১ জন মৎস্যজীবী কোনওরকমে প্রাণে বেঁচে ফিরলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছেন তিনজন। তাঁদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় জলসীমায় কীভাবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ প্রবেশ করল? এটি কি শুধুই দুর্ঘটনা, না পরিকল্পিত হামলা?

মৎস্যজীবীদের দাবি অনুযায়ী, বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে বল্লম ছুড়ে আক্রমণ করা হয়। এক মৎস্যজীবী রাজদুল আলি শেখ বল্লমের আঘাতে জলে পড়ে নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ। বিষয়টি দুর্ঘটনা না ইচ্ছাকৃত হামলা, তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।

কাকদ্বীপ থানার পুলিশ উদ্ধার হওয়া দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। তদন্তের ফলের দিকেই তাকিয়ে গোটা উপকূল এলাকা।

প্রশ্ন ও উত্তর

১. উদ্ধার হওয়া দুই মৎস্যজীবীর নাম কী?
সঞ্জীব দাস ও রঞ্জন দাস।

২. এখনও কতজন নিখোঁজ?
এখনও তিনজন মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন।

৩. ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে?
বঙ্গোপসাগরে, ভারতীয় জলসীমার মধ্যে।

৪. বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে কী অভিযোগ?
ট্রলারে ধাক্কা ও বল্লম দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে।

৫. পুলিশ কী পদক্ষেপ নিয়েছে?
মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।