হঠাৎ করেই থমকে গেল একটি প্রতিভাবান হলিউড ক্যারিয়ার—রহস্যের আবরণে মোড়া এক মৃত্যুর খবর নাড়িয়ে দিল বিনোদন দুনিয়া। জনপ্রিয় মার্কিন অভিনেতা James Ransone-এর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসের নিজ বাসভবন থেকে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৬ বছর।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর জরুরি ফোনকলের ভিত্তিতে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। প্রাথমিক ময়নাতদন্তে গলায় ফাঁস লাগার চিহ্ন পাওয়া গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো খুনের আলামত না মেলায় বিষয়টিকে আত্মহত্যা বলেই ধরে নিচ্ছে তদন্তকারী সংস্থা।
জেমসের মৃত্যুর পর নতুন করে আলোচনায় এসেছে তার স্ত্রী জেমি ম্যাকফির একটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্ট। মৃত্যুর ঠিক দুদিন আগে তিনি ‘ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অন মেন্টাল ইলনেস’-এর সমর্থনে তহবিল সংগ্রহের একটি বার্তা শেয়ার করেছিলেন। অনেকেই মনে করছেন, সেটি অভিনেতার মানসিক চাপ ও অবসাদের ইঙ্গিত বহন করে।
জেমস রেনসোনের ব্যক্তিগত জীবন সহজ ছিল না। তরুণ বয়সে মাদকাসক্তি ও ঋণের ভারে জর্জরিত ছিলেন তিনি। ২০০৬ সালের পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা শুরু করেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি শৈশবের ভয়াবহ যৌন নির্যাতনের কথাও প্রকাশ করেছিলেন, যা তার মানসিক স্বাস্থ্যে গভীর প্রভাব ফেলে।
অভিনয়ে তিনি রেখে গেছেন শক্ত ছাপ। The Wire, It Chapter Two, Sinister, The Black Phone এবং Oldboy—এই সব সিনেমা ও সিরিজে তার অভিনয় আজও দর্শকদের মনে গেঁথে থাকবে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তানকে রেখে গেছেন। তার আকস্মিক প্রস্থান হলিউডে সৃষ্টি করেছে গভীর শোকের আবহ।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: জেমস রেনসোনের মৃত্যু কীভাবে হয়েছে?
উত্তর: প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, গলায় ফাঁস লেগে তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রশ্ন ২: ঘটনাস্থলে কোনো খুনের আলামত পাওয়া গেছে কি?
উত্তর: না, পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো অস্বাভাবিক আলামত পায়নি।
প্রশ্ন ৩: স্ত্রীর পোস্ট কেন আলোচনায় এসেছে?
উত্তর: মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সেই পোস্টকে অনেকেই ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে করছেন।
প্রশ্ন ৪: জেমস রেনসোন কোন কোন কাজে বেশি পরিচিত?
উত্তর: ‘দ্য ওয়্যার’, ‘ইট: চ্যাপ্টার ২’, ‘সিনিস্টার’সহ একাধিক জনপ্রিয় কাজে।
প্রশ্ন ৫: তিনি কি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন?
উত্তর: অতীতে অবসাদ ও ট্রমার কথা তিনি নিজেই স্বীকার করেছিলেন।
