চোখ জুড়ানো দৃশ্য, কিন্তু মন ভরাতে পারল কি গল্প?—এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে নতুন ‘অ্যাভাটার’ সিনেমাকে ঘিরে। Avatar: Fire and Ash মুক্তির পর থেকেই দর্শক ও সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া বেশ মিশ্র। বিশ্বখ্যাত পরিচালক James Cameron আবারও প্যান্ডোরাকে ফিরিয়ে আনলেও, গল্পের গভীরতা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্নচিহ্ন।
আগের দুই কিস্তির বিপুল সাফল্যের পর স্বাভাবিকভাবেই প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া। তবে অনেক দর্শকের মতে, এবার ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের ঝলকানি যতটা শক্তিশালী, গল্পের আবেগ ততটাই দুর্বল। আগ্নেয়গিরির ছাইঘেরা ‘মাংকওয়ান’ গোষ্ঠীর আবির্ভাব নতুনত্ব আনলেও মূল কাহিনির গাঁথুনি অনেকের মন ছুঁতে পারেনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনেমাটিকে ঘিরে চলছে তীব্র আলোচনা। এক্স ও ফেসবুকে বহু নেটিজেন একে ‘একই গল্পের পুনরাবৃত্তি’ বলে কটাক্ষ করেছেন। কেউ কেউ তো ব্যঙ্গ করে বলেছেন, এটি যেন কয়েকশো মিলিয়ন ডলারের একটি ঝকঝকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন।
৩ ঘণ্টা ১০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই সিনেমায় প্রযুক্তিগত দিক অনবদ্য হলেও দীর্ঘ সময় ধরে একই ধরনের দৃশ্য অনেকের কাছে ক্লান্তিকর লেগেছে। তবুও কারিগরি উৎকর্ষের কারণে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, অস্কারের ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট বিভাগে সিনেমাটি আবারও শক্ত দাবিদার হবে।
সমালোচনা সত্ত্বেও বক্স অফিসে শুরুটা মন্দ নয়। প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেটে নির্মিত এই ছবি শক্তিশালী ওপেনিং করেছে। যদিও আগের কিস্তির তুলনায় উদ্বোধনী আয় কিছুটা কম, তবুও বিশ্লেষকরা তাকিয়ে আছেন—এই ছবি কি আবার ২ বিলিয়ন ডলারের ক্লাবে ঢুকতে পারবে?
প্রশ্ন ও উত্তর
Q1: ‘অ্যাভাটার ৩’ কি আগের কিস্তিগুলোর মতো সফল?
A: বক্স অফিসে শুরু ভালো হলেও গল্পের দিক থেকে প্রতিক্রিয়া মিশ্র।
Q2: সিনেমার সবচেয়ে বড় শক্তি কী?
A: ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট ও প্যান্ডোরার নতুন রূপ।
Q3: দর্শকদের প্রধান অভিযোগ কোথায়?
A: গল্পের আবেগ ও গভীরতার ঘাটতি।
Q4: অস্কারে কি সিনেমাটি সুযোগ পেতে পারে?
A: ভিজ্যুয়াল ইফেক্ট বিভাগে জোরালো সম্ভাবনা রয়েছে।
Q5: সিনেমার দৈর্ঘ্য কি সমস্যা তৈরি করেছে?
A: অনেক দর্শকের মতে, দীর্ঘ সময় ধরে একই দৃশ্য ক্লান্তিকর লেগেছে।
