বাশার সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় ইসরায়েলের টানা বিমানহানা

Published By: Khabar India Online | Published On:

সিরিয়ার আকাশে আগুন যেন থামছেই না—বাশার আল আসাদ সরকারের পতনের পর গত এক বছরে ইসরায়েলের হামলা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। বিদ্রোহী জোটের আকস্মিক অভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতিকে সুযোগ হিসেবে দেখেই দেশটির সামরিক অবকাঠামোতে ধারাবাহিক আঘাত হানছে ইসরায়েলি বাহিনী।

আর্মড কনফ্লিক্ট লোকেশন অ্যান্ড ইভেন্ট ডেটার প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সিরিয়াজুড়ে ৬০০-রও বেশি বিমান, ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। অর্থাৎ প্রায় প্রতিদিনই গড়ে দুটি করে আক্রমণ। দক্ষিণ সিরিয়ার কুনেইত্রা, দেরা ও দামেস্ক অঞ্চলই এসব হামলার প্রধান লক্ষ্য। এর মধ্যে কুনেইত্রায় ২৩২ বার এবং দেরায় ১৬৭ বার আঘাত হানা হয়েছে।

বহু বছর ধরে ইরানি সামরিক ঘাঁটি দমনের যুক্তিতে ইসরায়েলের আগ্রাসন চললেও এবার তারা বলছে, ‘চরমপন্থিদের’ হাতে অস্ত্র পৌঁছানো ঠেকাতেই এই অভিযান। তালিকায় রয়েছে বাশার-বিরোধী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল শাম (এইচটিএস)-এর নামও।

বাশার সরকারের পতনের মাত্র চার দিন পর ইসরায়েল দাবি করে, তারা সিরিয়ার ৮০ শতাংশের বেশি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। এ ছাড়া গোলান মালভূমির সিরিয়া অংশে চুক্তিলঙ্ঘন করে প্রবেশ, নতুন সামরিক চৌকি স্থাপন এবং জমি দখলের অভিযোগ আরও উত্তপ্ত করেছে পরিস্থিতি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শুধু গোলান নয়, জাতিসংঘ বাফার জোনের ২৩৫ বর্গকিলোমিটার এবং বাফারের বাইরে আরও প্রায় ৪২০ বর্গকিলোমিটার এলাকা এখন ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে।

এই ভূমি দখল আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। জাতিসংঘসহ আরব রাষ্ট্রগুলো এটিকে আন্তর্জাতিক আইন ও সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে নিন্দা জানিয়েছে। তবে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ স্পষ্ট জানিয়েছেন—ইসরায়েলি বাহিনী এই এলাকা থেকে ‘অনির্দিষ্টকাল’ সরে যাবে না।

1. সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলা কেন বাড়ছে?
বাশার সরকারের পতনের পর অস্ত্র ‘চরমপন্থিদের’ হাতে না যাওয়ার দাবি তুলে হামলা বাড়িয়েছে ইসরায়েল।

2. এক বছরে মোট কতটি হামলা হয়েছে?
২০২৪–২৫ সময়কালে ৬০০-র বেশি বিমান, ড্রোন ও আর্টিলারি হামলা হয়েছে।

3. কোন এলাকাগুলো সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু হয়েছে?
দক্ষিণ সিরিয়ার কুনেইত্রা, দেরা ও দামেস্ক অঞ্চল।

4. আন্তর্জাতিক মহল কী বলছে?
জাতিসংঘ ও আরব দেশগুলো ইসরায়েলের ভূমি দখলকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে নিন্দা করেছে।

5. ইসরায়েল কি দখল করা এলাকা ছাড়বে?
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন—বাহিনী অনির্দিষ্টকালের জন্য সেখানেই থাকবে।