মহড়ার আড়ালে ইরান কি মিসাইল হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে?

Published By: Khabar India Online | Published On:

সামরিক মহড়ার আড়ালে বড় ধরনের কিছু ঘটতে পারে—এই আশঙ্কাই এখন নতুন করে আলোচনায়। ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের সাম্প্রতিক মিসাইল মহড়া ঘিরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দখলদার ইসরায়েল। তাদের আশঙ্কা, এই মহড়ার আড়ালেই ইরান মিসাইল হামলা চালাতে পারে।

সংবাদমাধ্যম এক্সিওস জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনকে আগাম সতর্ক করেছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে আবারও সংঘাত শুরু হতে পারে—এমন শঙ্কার মধ্যেই এই সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন কর্মকর্তাদের বরাতে জানা গেছে, ২০২৩ সালে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েল যে কোনো সম্ভাব্য হুমকি নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি সতর্ক। সামরিক মহড়া হলেও সেটিকে তারা সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি হিসেবেই দেখছে।

এক্সিওস আরও জানিয়েছে, প্রায় ছয় সপ্তাহ আগেও বিপ্লবী গার্ড একই ধরনের মিসাইল মহড়া চালিয়েছিল। তখনও ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করেছিল। এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেন, ‘ইরানের হামলার সম্ভাবনা ৫০ শতাংশের কম হলেও এটিকে শুধুই মহড়া ভেবে ঝুঁকি নিতে কেউ রাজি নয়।’

তবে এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে ইরান সরাসরি মিসাইল হামলা চালাবে—এমন কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত তারা পাননি। তবুও বিভিন্ন সূত্রের মতে, দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি থেকেই বড় সংঘাতের সূত্রপাত হতে পারে।

গত জুন মাসে ইরান ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ হয়েছিল। ওই যুদ্ধের পর ইরানের মিসাইল মজুত প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে বলে ধারণা করা হয়। বর্তমানে তেহরানের হাতে প্রায় ২০০টি লঞ্চার রয়েছে বলেও বিশ্বাস সংশ্লিষ্টদের। যুদ্ধ শেষে ইরান মিসাইল উৎপাদন বাড়ালেও যুদ্ধ-পূর্ব অবস্থায় এখনো ফিরতে পারেনি বলে মনে করছেন মার্কিন ও ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।

প্রশ্ন ও উত্তর 

১. ইরানের সামরিক মহড়া কেন উদ্বেগের কারণ?
কারণ ইসরায়েলের আশঙ্কা, এই মহড়ার আড়ালে হঠাৎ মিসাইল হামলা হতে পারে।

২. যুক্তরাষ্ট্র কি ইরানের হামলার ইঙ্গিত পেয়েছে?
মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত তেমন কোনো স্পষ্ট ইঙ্গিত নেই।

৩. ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে সম্প্রতি কি যুদ্ধ হয়েছে?
হ্যাঁ, গত জুন মাসে দুই দেশের মধ্যে ১২ দিনের যুদ্ধ হয়েছিল।

৪. ওই যুদ্ধে ইরানের সামরিক সক্ষমতা কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে?
ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের মিসাইল মজুত প্রায় ৫০ শতাংশ কমে গেছে।

৫. বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন যুদ্ধের সম্ভাবনা কতটা?
বিশ্লেষকদের মতে, ভুল বোঝাবুঝি থেকেই সংঘাত শুরু হওয়ার ঝুঁকি রয়ে গেছে।