শরীর ডুবিয়ে দিয়েছি

Published By: Khabar India Online | Published On:

শরীর ডুবিয়ে দিয়েছি

কৃষ্ণচূড়ার শরীরে ধাউধাউ করে
জ্বলে উঠে
সহস্র বিভ্রমের আগুন।

অথচ কোনো একদিন অভিমানে→→
অশুভ্রতায় নিশ্চুপ ধুয়ে গেছে

নিরীহ বকুল।

যদিও শরত সপ্তমী রাত

শহরে নগরে ঢাকের মাতাল প্রলাপ–
ইদিকে ওদিকে দগ্ধ পৃথিবী– সংসার
অসারে দগ্ধ আজ তুমি আমি
দগ্ধ খরস্রোতা নদী অযত্নে বেড়ে ওঠা হাস্নাহেনা।

তবুও শিউলি ঝরা হিমেল বিহানে
নিঃলজ্জ নাভি ছুঁয়ে
সুদকষার অংক কষি→→ দগ্ধ শরীরের

হাঁড়ের হাঁড়িতে জ্বালা ধরানো সংশয়
নির্মোহ
অথচ
মানুষ হয়ে মরে যাওয়া চিরসত্য।

যতোসব অবিদ্যায় ঘিরে ধরেছে–
আজ
কাল
→→ঘুমরোগ।

যে একদিন ছিলো প্রতিবেশি
সহোদর
সে আজ কন্টকে কিম্বা কুলের শাখায়…
সে হয়েছে আজ অনায়াসে শ্রাবণ মেঘ
কিম্বা মৌ কূলের হন্তারক।

যে হাত– সুশীল→→ সুনীল→→ সুগভীর
যে আঙুল অকপটে রাঙিয়েছো
রাঙিয়েছো সকালের হলুদরঙ
কিম্বা যে টোপ এগিয়ে দিয়েছো মীনের মতো।

আমিও
তোমার জন্য অঞ্জলী দিয়ে
হাজার পায়রা→ নীলিমায় উড়িয়ে বলেছি–
ওম্ শান্তি… ওম্ শান্তি।

অথচ মানুষ হবার মন্ত্রণা কারোই ছিলো না
কখনও
তবুও ভুলে
অভুলে শুধু নিয়েছি একই কথা→

স্বপ্নে।

আজ→→

বিভ্রমে বকের শরীর ডুবিয়ে দিয়েছি–
আগামীর স্মৃতি ভরা চুকচুক শব্দে
অতীতের তলহীন ঘূর্ণিজলে।

তাপস চক্রবর্তী। কবি