বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের পর দিনই ভরতপুরে জমে উঠল রাজনৈতিক উত্তাপ। ঠিক যখন অপেক্ষা ছিল তাঁর ইস্তফার, তখনই হঠাৎ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। নতুন করে জানিয়ে দিলেন— এখনই তিনি বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না।
শনিবার মসজিদের শিলান্যাসের পর যে ‘অপ্রত্যাশিত মানুষের সাড়া’ পেয়েছেন, তা-ই নাকি তাঁকে সিদ্ধান্ত বদলাতে বাধ্য করেছে। তাঁর কথায়, এলাকার মানুষই চান তিনি বিধায়ক থাকুন। তাই পূর্বঘোষিত ইস্তফার সিদ্ধান্ত তিনি পিছিয়ে দিয়েছেন।
যদিও নিজের নতুন দল নিয়ে আগের অবস্থানই বজায় রেখেছেন হুমায়ুন। বললেন, ২২ ডিসেম্বরই ঘোষণা হবে তাঁর নতুন রাজনৈতিক দল। সঙ্গে দাবি, তাঁর দলে আরও দুই বিধায়ক যুক্ত হবেন— যদিও তাঁদের পরিচয় এখনই প্রকাশ করতে চাননি তিনি।
এদিকে তৃণমূল ইতিমধ্যেই তাঁকে সাসপেন্ড করেছে। দলীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, বাবরি মসজিদের নামে হুমায়ুন সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করেছেন। তৃণমূল নেতাদের একাংশ আবার বলছেন, নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ভেবে হুমায়ুন ইস্তফার পথ থেকে সরে এসেছেন।
এদিকে রাজনৈতিক পাল্টাপাল্টি মন্তব্যের মাঝেই হুমায়ুন নতুন ঘোষণা করেছেন— মুর্শিদাবাদে এবার হবে লক্ষ কণ্ঠে কোরান পাঠ। আর সেই প্রসঙ্গেই তৃণমূলের কুণাল ঘোষের পাল্টা বার্তা, ‘‘গীতাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ব্যবহার করা যেমন ভুল, তেমনই সাম্প্রদায়িক মেরুকরণও বরদাস্ত করা হবে না।’’
হুমায়ুনের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন রাজনৈতিক মহলে নতুন প্রশ্ন তুলেছে— তিনি কি বিরোধী জোটের সঙ্গে নতুন সমীকরণ গড়তে চাইছেন? নাকি ভরতপুরের জনসমর্থনই তাঁকে পথ দেখাচ্ছে?
1. হুমায়ুন কবীর কি ইস্তফা দিচ্ছেন?
না, তিনি জানিয়েছেন এখনই তিনি বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না।
2. নতুন দল কবে ঘোষণা করবেন হুমায়ুন?
আগামী ২২ ডিসেম্বর তিনি নিজের নতুন রাজনৈতিক দল ঘোষণা করবেন।
3. কেন সিদ্ধান্ত বদলালেন তিনি?
তাঁর দাবি, ভরতপুরের মানুষ তাঁকে ইস্তফা না দিতে অনুরোধ করেছেন।
4. তৃণমূল কেন তাঁকে সাসপেন্ড করেছে?
বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
5. তাঁর নতুন দলে আরও কোন কোন বিধায়ক থাকবেন?
হুমায়ুন বলেছেন, আরও দুই বিধায়ক থাকবেন, তবে নাম এখনো জানাননি।

