ফোনের অ্যাপ ভাইরাসমুক্ত কি না? সহজেই চিনে নিন এই উপায়ে

Published By: Khabar India Online | Published On:

ফোনে অ্যাপ ইনস্টল করার আগেই বিপদের ইঙ্গিত লুকিয়ে থাকতে পারে—আর সেই ইঙ্গিত চিনে ফেলতে পারলেই আপনার স্মার্টফোন থাকবে অনেক বেশি নিরাপদ। বর্তমানে ভুয়া, থার্ড-পার্টি বা ম্যালওয়্যারযুক্ত অ্যাপের সংখ্যা বাড়ায় ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু সহজ কৌশল মেনে চললেই ফোনকে ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করা যায় খুব সহজে।

প্রথমেই নিশ্চিত হোন অ্যাপটি কোথা থেকে ডাউনলোড করছেন। গুগল প্লে স্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের মতো অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্ম ছাড়া অন্য উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড না করাই ভালো। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা অবশ্যই প্লে প্রোটেক্ট চালু আছে কি না দেখে নেবেন, কারণ এটি ইনস্টল করা অ্যাপ স্ক্যান করে সম্ভাব্য ক্ষতিকারক সফটওয়্যার শনাক্ত করে।

অ্যাপ ইনস্টল করার আগে ডেভেলপারের পরিচয় দেখে নিন। স্বনামধন্য ডেভেলপারের অ্যাপ সাধারণত বেশি নিরাপদ হয়। পাশাপাশি রেটিং ও রিভিউ পড়ুন—ব্যবহারকারীরা যদি অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন, সন্দেহজনক অফার বা ম্যালওয়্যারের অভিযোগ করে থাকেন, তবে অ্যাপটি এড়িয়ে চলাই ভালো। ডাউনলোড সংখ্যা খুব কম হলে এটাও হতে পারে সন্দেহের কারণ।

অ্যাপ ইনস্টলের পর যে পারমিশন চায় তা মনোযোগ দিয়ে দেখুন। দরকার ছাড়া কন্ট্যাক্টস, মাইক্রোফোন বা লোকেশন পারমিশন চাইলে সতর্ক হোন। প্রতিটি অ্যাপের শুধু প্রয়োজনীয় পারমিশনই অনুমোদন করুন যাতে আপনার ডেটা নিরাপদ থাকে।

ফোনের সিস্টেম আপডেট ও সিকিউরিটি প্যাচ সবসময় হালনাগাদ রাখলে সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি অনেকটা কমে যায়। অতিরিক্ত সুরক্ষা চাইলে অ্যাভাস্ট, ক্যাসপারস্কি বা বিটডিফেন্ডারের মতো নির্ভরযোগ্য অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ ব্যবহার করে নিয়মিত স্ক্যান করাও কার্যকর।

এই সহজ নিয়মগুলো মেনে চললে আপনার স্মার্টফোন থাকবে ভাইরাস ও ম্যালওয়্যার থেকে অনেক বেশি সুরক্ষিত।

1. কীভাবে বুঝব অ্যাপটি নিরাপদ কি না?
অফিসিয়াল স্টোর, রেটিং, রিভিউ ও ডেভেলপার তথ্য দেখে সহজেই ধারণা পাওয়া যায়।

2. থার্ড-পার্টি এপিকে ফাইল কি ঝুঁকিপূর্ণ?
হ্যাঁ, বেশিরভাগ সময়ই এসব উৎসে ম্যালওয়্যার থাকার ঝুঁকি বেশি থাকে।

3. প্লে প্রোটেক্ট চালু রাখার সুবিধা কী?
এটি ইনস্টল করা অ্যাপ স্ক্যান করে ক্ষতিকারক অ্যাপ শনাক্ত করতে সাহায্য করে।

4. অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ কি সত্যিই দরকার?
অতিরিক্ত সুরক্ষা চাইলে ভালো মানের অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করা যেতে পারে।

5. অপ্রয়োজনীয় পারমিশন দিলে কী সমস্যা হতে পারে?
ব্যক্তিগত ডেটা ফাঁস, মাইক্রোফোন/ক্যামেরা অপব্যবহারসহ নানা নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।