বাংলাদেশের অশান্তি নিয়ে উদ্বেগ, ‘সার্জারি দরকার’ বললেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা

Published By: Khabar India Online | Published On:

বাংলাদেশের বর্তমান অশান্ত পরিস্থিতি ঘিরে ফের তীব্র ও তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী Himanta Biswa Sarma। এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি স্পষ্ট বলেন, ওপার বাংলার পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধানের জন্য শুধুমাত্র কূটনীতির উপর ভরসা করে আর এগোনো সম্ভব নয়। তাঁর কথায়, “যখন ওষুধে কাজ হয় না, তখন সার্জারি করতে হয়।”

হিমন্ত বিশ্বশর্মা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন শিলিগুড়ি করিডোর বা ‘চিকেন নেক’-এর কথা। এই সরু ভূখণ্ডকে তিনি ভারতের অন্যতম বড় কৌশলগত দুর্বলতা হিসেবে চিহ্নিত করেন। তাঁর দাবি, করিডোরের দুই পাশেই বাংলাদেশ থাকায় উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তা সবসময় ঝুঁকির মধ্যে থাকে। ভবিষ্যতে ২০–২২ কিলোমিটার জমি কূটনৈতিক বা কঠোর পদক্ষেপের মাধ্যমে সুরক্ষিত করার প্রয়োজন হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।

অসমের অভ্যন্তরীণ জনবিন্যাস নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তাঁর দাবি, স্বাধীনতার সময় যেখানে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মানুষের সংখ্যা ছিল ১০–১৫ শতাংশ, সেখানে বর্তমানে তা বেড়ে প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিকে তিনি ‘বারুদের স্তূপ’-এর সঙ্গে তুলনা করেন এবং আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ভবিষ্যতে রাজ্যের সামাজিক ও প্রশাসনিক ভারসাম্য আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।

১৯৭১ সালের যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে হিমন্ত কংগ্রেসের সমালোচনাও করেন। তাঁর মতে, সেই সময় যদি ভারতের কৌশলগত প্রয়োজন মাথায় রেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতো, তবে আজ এই ধরনের নিরাপত্তা সংকট তৈরি হতো না।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে, ওপার বাংলায় সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা এবং সামগ্রিকভাবে চরমপন্থার দিকে ঝোঁকার বিষয়টি ভারতের সীমান্ত রাজ্যগুলোর জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ। সব মিলিয়ে, দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় ভবিষ্যতে কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া অনিবার্য হয়ে উঠতে পারে বলেই ইঙ্গিত দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী।

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: হিমন্ত বিশ্বশর্মা কেন ‘সার্জারি’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন?
উত্তর: তাঁর মতে, কূটনীতিতে কাজ না হলে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া উপায় থাকে না।

প্রশ্ন ২: চিকেন নেক কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
উত্তর: এটি উত্তর-পূর্ব ভারতকে মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করা একমাত্র স্থলপথ।

প্রশ্ন ৩: অসমের জনবিন্যাস নিয়ে কী আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি?
উত্তর: দ্রুত জনসংখ্যাগত পরিবর্তন ভবিষ্যতে শাসন ও সামাজিক ভারসাম্যে সমস্যা তৈরি করতে পারে।

প্রশ্ন ৪: ১৯৭১ সালের প্রসঙ্গ কেন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী?
উত্তর: তাঁর মতে, সেই সময় কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিলে বর্তমান সংকট এড়ানো যেত।

প্রশ্ন ৫: এই মন্তব্যের প্রভাব কী হতে পারে?
উত্তর: সীমান্ত নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক আলোচনায় নতুন করে বিতর্ক শুরু হতে পারে।