যেভাবে মুহূর্তে সব বদলে গেল—বাস্তবেই সময় থমকে যায়, প্রাণ হারায় অনেকেই। “Goa nightclub fire” বিষয়টি গোয়ার প্রাসঙ্গিক অঞ্চলে এখন সবার চর্চার বিষয়।
গত শনিবার গভীর রাতেই বাগা সমুদ্রসৈকতের কাছে আরপোরায় জনপ্রিয় নৈশক্লাব বির্চে আচমকা আগুন লেগে যায়। রাত ১২টার পর পার্টি চলাকালীন ডান্স ফ্লোরে আকস্মিকভাবে ধোঁয়া আর আগুন ছড়াতে থাকে। ক্লাবটির কাঠের কাঠামো হওয়ায় আগুন দ্রুত বিস্তার লাভ করে; অনেকে ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়েন, কিছু মানুষ বেসমেন্টে আটকে যান — বিশেষত রান্নাঘরের এলাকায় যারা বেরোনোয়ার পথ পাননি।
গোয়ার অগ্নিনির্বাপন ও জরুরি পরিষেবার ডিরেক্টর নীতিন ভি. রাইকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, ক্লাবটির প্রয়োজনীয় দমকল ছাড়পত্র (NOC) ছিল না এবং নিরাপত্তা বিধি মানা হয়নি। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী একটি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লাগার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে তদন্ত চলছে—অন্য কোনও কারণ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দমকলকে দ্রুত খবর দিলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লেগে যায়; আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও প্রচণ্ড ধোঁয়া অনেককেই অসুস্থ করে তোলে এবং কেউ কেউ প্রাণ হারান। স্থানীয় পুলিশ জানায়, এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২৫। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন চার পর্যটক, ১৪ জন ক্লাবকর্মী; বাকিদের পরিচয় পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ জানায়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিহতদের পরিবারকে প্রতি পরিবার দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্য ঘোষণা করেছেন; গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্তও শোকপ্রকাশ করে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। ঘটনায় ক্লাবের মালিক ও জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তও শুরু করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন ও অগ্নিনির্বাপক বিভাগ বলছে—ক্লাব যদি নিয়ম মেনে চলত, প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকত এবং দমকল ছাড়পত্র থাকত, তাহলে এতো প্রাণহানি রুদ্ধ হতো কি না — তা এখনই বড় প্রশ্ন। তদন্তে বেরিয়ে আসা তথ্যগুলো ভবিষ্যতে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ব্যবহৃত হবে।
এই দুর্ঘটনা স্থানীয় পর্যটনশিল্পকেও কাঁপিয়ে তুলেছে—বাগা সমুদ্রসৈকতের কাছে এমন একটি প্রতিষ্টানে নিরাপত্তাহীনতা নজিরবিহীন নয় বলে সমাজমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে। প্রশাসন এই ঘটনায় দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ভবিষ্যতে এরকম অনাবশ্যক ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
গোয়ার এই দুঃখজনক অগ্নিকাণ্ডে যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের স্মরণে সমাজ একবার নীরব; তদন্ত থেকে যা-ই বেরোক, সঠিক দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে—এটাই প্রত্যাশা।
Q1: দুর্ঘটনায় মোট কতজন নিহত ও আহত হয়েছেন?
A1: এখন পর্যন্ত পুলিশ জানিয়েছে মৃতের সংখ্যা ২৫ এবং অনেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন; সংখ্যাটি তদন্ত ও পরিচয় মিললে আপডেট হবে।
Q2: আগুন লাগার কারণ কী—গ্যাস সিলিন্ডার নাকি অন্য কিছু?
A2: প্রাথমিক ধারণা গ্যাস সিলিন্ডার ফাটা; তবে আনুষ্ঠানিক তদন্ত চলছে এবং অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Q3: ক্লাবের কাছে কি দমকলের ছাড়পত্র (NOC) ছিল?
A3: প্রশাসন ও অগ্নিনির্বাপন বিভাগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যে ক্লাবটির প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছিল না এবং নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে।
Q4: মৃতদের পরিবারকে কি আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করা হয়েছে?
A4: প্রধানমন্ত্রী ঘোষণায় নিহত পরিবারকে প্রতি পরিবার দু’লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
Q5: এখন কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে?
A5: ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে; ক্লাবের মালিক ও জেনারেল ম্যানেজারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্তের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

