ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে আবারও শুরু হতে চলেছে বৃহৎ আয়োজনের প্রস্তুতি। আগামী ৭ ডিসেম্বর আয়োজিত হতে চলেছে ‘পাঁচ লক্ষ কণ্ঠে’ গীতা পাঠ, আর সেই ভিড় সামলাতে পূর্ব রেল ঘোষণা করল একাধিক বিশেষ ট্রেন।
আয়োজক সংগঠন ‘সনাতন সংস্কৃতি সংসদ’-এর উদ্যোগে এ বছর ফের ব্রিগেড জুড়ে হতে পারে বিশাল সমাগম। তাই শিয়ালদহ ও হাওড়া—দুই শাখাতেই মোট ২০টি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। শুক্রবার প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ভক্তদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতেই এই বিশেষ বন্দোবস্ত।
শিয়ালদহ শাখায় চলবে মোট ১৪টি ইএমইউ স্পেশাল ট্রেন, যার মধ্যে রয়েছে কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, বনগাঁ, হাসনাবাদ, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং ক্যানিং রুটে অতিরিক্ত পরিষেবা। প্রতিটি রুটে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে রেল।
হাওড়া শাখায় থাকবে ৬টি বিশেষ ট্রেন, যার মধ্যে রামপুরহাট, বর্ধমান ও আরামবাগ রুটে বিশেষ পরিষেবা পরিচালিত হবে। বহু ভক্তের সম্ভাব্য সমাগমের কথা মাথায় রেখে ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলবে এই স্পেশাল ট্রেনগুলি।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরেও ব্রিগেডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’-এর আয়োজন হয়েছিল। সেই কর্মসূচিতে সত্যিই এক লাখ মানুষ উপস্থিত ছিলেন কি না, তা নিয়ে যদিও বিতর্ক ছিল, তবে আয়োজকদের দাবি ছিল— লক্ষাধিক মানুষ অংশ নিয়েছিলেন এবং বিশ্বরেকর্ড তৈরি হয়েছিল। এবার আয়োজনে কত মানুষের ভিড় হয়, সেদিকেই তাকিয়ে সকলেই।
১. গীতা পাঠ অনুষ্ঠান কবে অনুষ্ঠিত হবে?
৭ ডিসেম্বর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে এই অনুষ্ঠান হবে।
২. পূর্ব রেল কতটি বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে?
মোট ২০টি বিশেষ ট্রেন—শিয়ালদহ শাখায় ১৪টি এবং হাওড়া শাখায় ৬টি।
৩. কোন কোন রুটে বিশেষ ট্রেন চলবে?
কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, বনগাঁ, হাসনাবাদ, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং, রামপুরহাট, বর্ধমান ও আরামবাগ রুটে।
৪. কেন বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে?
গীতা পাঠের কারণে বিপুল ভিড়ের সম্ভাবনা থাকায় ভক্তদের যাতায়াত সহজ করতে।
৫. পূর্বেও কি এই ধরনের অনুষ্ঠান হয়েছে?
হ্যাঁ, ২০২৩ সালে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’-এর আয়োজন হয়েছিল।

