গাজায় ধ্বংসস্তূপে ভয়াবহ আবিষ্কার, এক ভবনেই মিলল ৪৫ মরদেহ

Published By: Khabar India Online | Published On:

ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা নীরব কান্না যেন আবারও সামনে এল গাজায়। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার একটি মাত্র ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে ৪৫টি মরদেহ, যা নতুন করে নাড়িয়ে দিয়েছে বিশ্ববিবেককে।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) গাজার ওই ভবনের ধ্বংসস্তূপ সরানোর সময় হতভাগ্য মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজায় অসংখ্য মানুষ ভবনের নিচে চাপা পড়ে ছিলেন। ইসরায়েলি সেনারা বিভিন্ন এলাকা থেকে সরে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে শুরু হয়েছে উদ্ধার অভিযান।

গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, ভারী এক্সকেভেটরের অভাবে উদ্ধার কাজ অত্যন্ত ধীরগতিতে চলছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি না থাকলে পুরো উদ্ধার কার্যক্রম শেষ করতে কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।

যে ভবনটি থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানে বসবাস করতেন বহু পরিবার। নিহতদের আত্মীয় আবু মুহাম্মদ সালেম বলেন, ইসরায়েলি বোমাবর্ষণের পরই পুরো ভবনটি ধসে পড়ে এবং ভেতরে থাকা সবাই চাপা পড়ে মারা যান।

তিনি আরও জানান, পরিবারের সদস্যদের মরদেহ উদ্ধার করে দেইর এল-বালাহর কবরস্থানে দাফন করতে চান তিনি, যাতে অন্তত স্মৃতির শেষ চিহ্নটুকু রক্ষা পায়। গাজায় ভবনের ধ্বংসস্তূপে মরদেহ উদ্ধার হওয়ার এই ঘটনা আবারও যুদ্ধের ভয়াবহ বাস্তবতাকে সামনে এনেছে।

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: গাজায় কোথা থেকে ৪৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে?
উত্তর: গাজার একটি মাত্র ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে ৪৫টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রশ্ন ২: কবে এই মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়?
উত্তর: সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ধ্বংসস্তূপ সরানোর সময় মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

প্রশ্ন ৩: উদ্ধার কাজে দেরি হচ্ছে কেন?
উত্তর: ভারী যন্ত্রপাতি ও এক্সকেভেটরের অভাবে উদ্ধার কাজ ধীরগতিতে চলছে।

প্রশ্ন ৪: নিহতদের পরিবার কী চান?
উত্তর: পরিবারগুলো মরদেহ উদ্ধার করে যথাযথভাবে দাফন করতে চান।

প্রশ্ন ৫: এই ঘটনা কী নির্দেশ করে?
উত্তর: এটি গাজায় চলমান যুদ্ধ ও মানবিক বিপর্যয়ের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরে।