শীতে জ্বর-সর্দি দূরে রাখবে যে ঘরোয়া আচার

Published By: Khabar India Online | Published On:

শীত পড়লেই ঘরে ঘরে শুরু হয় জ্বর, সর্দি আর কাশির উৎপাত। কিন্তু জানেন কি, রান্নাঘরেই আছে এর সহজ সমাধান? একটি সাধারণ কিন্তু শক্তিশালী ঘরোয়া উপাদান—রসুনের আচার—শীতের মৌসুমি রোগবালাই থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে।

রসুনের আচারে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ও ই, যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। শীতকালে নিয়মিত অল্প পরিমাণে রসুনের আচার খেলে সংক্রমণের ঝুঁকি কমে।

শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তাল্পতা দেখা দেয়। রসুন রক্তে আয়রন শোষণের ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে শরীর থাকে সবল। আবার রসুনে থাকা ভিটামিন বি৬, আঁশ ও ম্যাগনেশিয়াম বিপাক হার বাড়িয়ে অতিরিক্ত ক্যালরি ঝরাতে সাহায্য করে।

শীতকালে অনেকেরই বাতের ব্যথা বেড়ে যায়। রসুনের প্রাকৃতিক প্রদাহনাশক গুণ বাতের ব্যথা কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। তাই শীতের খাদ্যতালিকায় এই আচার রাখা হতে পারে উপকারী সিদ্ধান্ত।

শীতে রোগবালাইকে জব্দ করতে কীভাবে এই উপকারী আচার তৈরি করবেন, তার সহজ রেসিপি।

সংক্ষেপে রেসিপি:
পরিষ্কার রসুন, গাজর, কাঁচা মরিচ ও লেবু স্লাইস মশলার সঙ্গে ভালোভাবে মেখে কাচের বোতলে ভরতে হবে। এরপর গরম সরিষার তেল ঢেলে ৭–১০ দিন রোদে রাখলেই তৈরি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর রসুনের আচার।

প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: শীতে রসুনের আচার কেন বেশি উপকারী?
উত্তর: এটি রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সর্দি-কাশির ঝুঁকি কমায়।

প্রশ্ন ২: রসুনের আচার কি প্রতিদিন খাওয়া যায়?
উত্তর: হ্যাঁ, তবে অল্প পরিমাণে খাওয়াই ভালো।

প্রশ্ন ৩: বাতের ব্যথায় কি এটি কাজে দেয়?
উত্তর: রসুনের প্রদাহনাশক গুণ ব্যথা কমাতে সহায়ক।

প্রশ্ন ৪: ওজন কমাতে রসুনের আচার কি সাহায্য করে?
উত্তর: এটি বিপাক হার বাড়িয়ে ক্যালরি ঝরাতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৫: আচার কতদিন ভালো থাকে?
উত্তর: পরিষ্কার ও শুকনো কাচের বোতলে রাখলে কয়েক মাস ভালো থাকে।