সোমবার পর্যন্ত যাঁরা জীবিত ছিলেন, মঙ্গলবার খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর হঠাৎই তাঁরা ‘মৃত’! রাজ্যের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত—খসড়া ভোটার তালিকা ঘিরে এমনই বিস্ময়কর অভিযোগে তোলপাড় পশ্চিমবঙ্গ।
উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ, একের পর এক এলাকায় জীবিত ভোটারদের মৃত দেখানোর অভিযোগ সামনে এসেছে। ভোটারদের দাবি, সমস্ত তথ্য ঠিকঠাক দিয়েও তাঁদের নামের পাশে ‘মৃত’ তকমা বসেছে। এই ভুলের দায় নির্বাচন কমিশনেরই নেওয়া উচিত বলে মত অনেকের। তবে কমিশন সেই দায় ঠেলে দিচ্ছে বুথ লেভেল অফিসার বা বিএলওদের কাঁধে।
কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভার একাধিক বুথে রাজবংশী দম্পতি অশ্বিনী অধিকারী ও শিবানী অধিকারী সহ কয়েকজন ভোটার খসড়া তালিকায় মৃত হিসেবে নথিভুক্ত হয়েছেন, যদিও তাঁরা সুস্থ ও জীবিত। একই ছবি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, মাথাভাঙা, দেওয়ানহাটেও।
দক্ষিণবঙ্গেও পরিস্থিতি আলাদা নয়। পূর্ব বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি—একাধিক জায়গায় জীবিত ভোটারের নাম বাদ পড়েছে বা মৃত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কোথাও আবার পুরুষ ভোটারের নামের পাশে মহিলার ছবি, কোথাও ভুল নামের অভিযোগ উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে কমিশন জানিয়েছে, বিএলওদের ভুলের কারণেই এই গরমিল। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে প্রায় ১০ জন বিএলও এবং একাধিক এআরও ও ইআরওকে শোকজ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তরফে লক্ষাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে কমিশনের কাছে।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: খসড়া ভোটার তালিকায় কী ধরনের ভুল ধরা পড়েছে?
উত্তর: জীবিত ভোটারকে মৃত দেখানো, নাম বাদ পড়া, ভুল ছবি ও নাম সংক্রান্ত ত্রুটি।
প্রশ্ন ২: এই ভুলের দায় কাকে দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন?
উত্তর: কমিশনের দাবি, মূলত বিএলওদের ভুলেই এই সমস্যা হয়েছে।
প্রশ্ন ৩: কতজন বিএলওকে শোকজ করা হয়েছে?
উত্তর: রাজ্যজুড়ে প্রায় ১০ জন বিএলওকে শোকজ নোটিস দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্ন ৪: রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিক্রিয়া কী?
উত্তর: তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম সহ বিভিন্ন দল লক্ষাধিক অভিযোগ জমা দিয়েছে।
প্রশ্ন ৫: ভুল সংশোধনের সুযোগ কি এখনও আছে?
উত্তর: হ্যাঁ, খসড়া তালিকা হওয়ায় সংশোধনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করা যাবে।

