নতুন ক্যালেন্ডার ঝোলার আগেই উৎসবের আবহে মাতোয়ারা বাংলার সৈকতশহর। বর্ষশেষের ছুটিতে পর্যটকদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে Digha-য়। বড়দিনের পর থেকেই ভিড় বাড়ছিল, শুক্রবার সকাল থেকে তা কার্যত জনস্রোতে রূপ নিয়েছে। ওল্ড ও নিউ দিঘার অধিকাংশ হোটেল আগাম বুকিংয়ে সম্পূর্ণ ভর্তি।
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানানো হয়েছে, ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রায় সব হোটেলেই ঘর পাওয়া যাচ্ছে না। পর্যটকদের সুবিধার জন্য বর্তমানে প্রায় ৮০০টি হোটেল পরিষেবা দিচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন একাধিক নতুন হোটেল গড়ে ওঠায় ভিড় বাড়লেও পরিষেবায় ঘাটতি হবে না বলেই দাবি হোটেল মালিকদের।
বর্ষবরণ উপলক্ষে এ বছর দিঘায় আকর্ষণের মাত্রা আরও বেড়েছে। ডিএসডিএ এবং হোটেল মালিক সংগঠনের উদ্যোগে শুরু হয়েছে বিশেষ ‘বিচ ফেস্টিভ্যাল’। ৩১ ডিসেম্বর রাতে সমুদ্রের বুকে ভাসমান জেটি থেকে পরিবেশবান্ধব গ্রিন বাজির প্রদর্শনী পর্যটকদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ। বড়দিন থেকেই আলোকসজ্জায় মোড়া সৈকতশহর ও নবনির্মিত জগন্নাথ ধাম চত্বর।
ভিড় সামলাতে প্রশাসনও তৎপর। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ, আলাদা পার্কিং জ়োন এবং বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রুখতে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে হোটেল সংগঠন ও প্রশাসন। ব্যবসায়ী মহলের মতে, এই পর্যটক-জোয়ার বছরের শেষ দিন পর্যন্ত বজায় থাকবে।
প্রশ্ন ও উত্তর
Q1. বর্ষবরণে কি দিঘার সব হোটেল বুকিং হয়ে গেছে?
A. প্রায় সব হোটেলই ভর্তি, হাতে গোনা কিছু ঘর পাওয়া যেতে পারে।
Q2. এ বছর দিঘায় নতুন কী আকর্ষণ রয়েছে?
A. বিচ ফেস্টিভ্যাল ও গ্রিন বাজির বিশেষ প্রদর্শনী।
Q3. পর্যটকদের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?
A. বাড়তি পুলিশ নজরদারি, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও আলাদা পার্কিং জ়োন।
Q4. অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে কী করা হবে?
A. অভিযোগ প্রমাণিত হলে হোটেলের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Q5. ভিড় কতদিন থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে?
A. ব্যবসায়ীদের মতে, ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ভিড় বজায় থাকবে।

