প্রেক্ষাগৃহে তখন নিস্তব্ধতা, পর্দায় শুধু আতঙ্ক আর কান্নার শব্দ—এইভাবেই দর্শকের মনে দাগ কেটেছে ‘ধুরন্ধর’ ছবির ২৬/১১ মুম্বই বিস্ফোরণের দৃশ্য। মুক্তির পর থেকেই বক্সঅফিসে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে এই ছবি। বিশেষ করে ওই রোমহর্ষক দৃশ্যে রণবীর সিংয়ের অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।
ছবিতে পাকিস্তানের গ্যাংস্টার উজ়ের বালোচের চরিত্রে অভিনয় করেছেন দানিশ পনডোর। সেই দৃশ্যে তাঁর চরিত্রকে দেখা যায় উল্লাস করতে, কিন্তু বাস্তবে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা মোটেই সহজ ছিল না। দানিশ জানিয়েছেন, মেজর ইকবালের সঙ্গে জঙ্গিদের ফোনালাপের দৃশ্যের সময় ২৬/১১ ঘটনার আসল রেকর্ডিং শোনানো হয়, যেখানে আটকে পড়া মানুষের কণ্ঠও শোনা যায়।
দানিশের কথায়, ওই রেকর্ডিং শুনে তিনি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। খবরে এই ঘটনা দেখা আর নিজের কানে সেই ভয়ংকর কথোপকথন শোনা—দুটির অনুভূতি এক নয়। মানুষের অসহায়তা আর যন্ত্রণার গভীরতা তখন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল।
তবু একজন অভিনেতা হিসেবে নিজের আবেগ লুকিয়ে চরিত্রের অনুভূতিই ফুটিয়ে তুলতে হয়েছিল তাঁকে। বাস্তবের দুঃখ সরিয়ে রেখে পর্দায় উল্লাস দেখানোই ছিল সবচেয়ে কঠিন কাজ। দানিশ আরও জানিয়েছেন, এই দৃশ্য চলাকালীন প্রেক্ষাগৃহে এক অদ্ভুত নীরবতা বজায় থাকে, যা বুঝিয়ে দেয় দৃশ্যটি কতটা গভীর প্রভাব ফেলেছে।
Q1. ‘ধুরন্ধর’ ছবির কোন দৃশ্য সবচেয়ে বেশি আলোচনায়?
A1. ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বরের মুম্বই বিস্ফোরণের দৃশ্যটি।
Q2. ওই দৃশ্যে কোন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দানিশ পনডোর?
A2. তিনি উজ়ের বালোচের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
Q3. দৃশ্যটি কেন এত আবেগঘন?
A3. কারণ শুটিংয়ের সময় আসল ২৬/১১ ঘটনার রেকর্ডিং ব্যবহার করা হয়েছিল।
Q4. রণবীর সিংয়ের অভিনয় নিয়ে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কী?
A4. দর্শকরা তাঁর অভিনয়ে মুগ্ধ ও আবেগাপ্লুত।
Q5. প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
A5. দৃশ্য চলাকালীন প্রেক্ষাগৃহে নীরবতা নেমে আসে।

