ভোরের অন্ধকার আর ঘন কুয়াশা—এই দুইয়ের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল মৃত্যুর ফাঁদ। মঙ্গলবার ভোরে দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল অন্তত ১৩ জনের, আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের মথুরার বলদেব এলাকায় ভোর আনুমানিক ৪টা ৩০ মিনিট নাগাদ এই দুর্ঘটনা ঘটে। ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা প্রায় শূন্যে নেমে আসে। সেই সময় একের পর এক সাতটি বাস ও তিনটি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। কয়েকটি বাস ও গাড়িতে আগুন ধরে যায়। আগুনে ঝলসে বহু যাত্রীর মৃত্যু হয়। প্রথমে মৃত্যুর সংখ্যা চার বলে জানানো হলেও, পরে তা বেড়ে ১৩-এ পৌঁছেছে। আহত হয়েছেন অন্তত ৩৫ জন।
মথুরার পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনায় জড়িত বাসগুলির মধ্যে একটি ছিল রাজ্য পরিবহণ দপ্তরের বাস, বাকিগুলি ছিল বেসরকারি স্লিপার বাস। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রশাসনের দাবি, আহতদের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, দুর্ঘটনার সময় অনেক যাত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। আচমকাই বিকট শব্দ ও ধাক্কায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আগুন ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয় হুড়োহুড়ি।
ঘটনার পরই তৎপর হন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
এর আগের দিন দিল্লি-মুম্বই এক্সপ্রেসওয়েতেও ঘন কুয়াশার কারণে একই ধরনের চেন দুর্ঘটনা ঘটে। শীতের মরশুমে কুয়াশার কারণে জাতীয় সড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কা, উদ্বিগ্ন প্রশাসন।
প্রশ্ন ও উত্তর
১) দুর্ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে?
মথুরার বলদেব এলাকায় দিল্লি-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে।
২) দুর্ঘটনার মূল কারণ কী?
ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম ছিল।
৩) মোট কতজনের মৃত্যু হয়েছে?
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৪) কতজন আহত হয়েছেন?
অন্তত ৩৫ জন আহত হয়েছেন।
৫) ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে কি?
হ্যাঁ, নিহতদের পরিবার পিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়েছে।

