শীতের বিকেলে হালকা খিদে পেলে অনেকেরই মন চায় মিষ্টি বা ভাজাভুজির দিকে। কিন্তু ঠিক এই সময়েই যদি একটু সচেতন হওয়া যায়, তাহলে শরীরকে রাখা সম্ভব সুস্থ ও চনমনে। ডিসেম্বর মাসে বাজারে পাওয়া যায় নানা রকম তাজা ফল ও সবজি, যেগুলো দিয়েই সহজে বানানো যায় স্বাস্থ্যকর সালাদ।
শীতের বিকেলের সালাদ তৈরি করতে খুব বেশি সময় বা ঝক্কি নেই। আনারস, পেয়ারা, শাকালু, গাজর আর কাঁচা কলার মতো উপাদান একসঙ্গে মিশলেই তৈরি হয় পুষ্টিতে ভরপুর একটি খাবার। সঙ্গে তেঁতুল, কাঁচা মরিচ ও ভাজা শুকনো মরিচের গুঁড়া যোগ হওয়ায় স্বাদে আসে টক-ঝাল-মিষ্টির চমৎকার ভারসাম্য।
এই সালাদে থাকা ফল ও সবজি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। শীতের সময় সর্দি-কাশি বা মৌসুমি অসুখ থেকে দূরে থাকতে বিকেলের খাবার এমন সালাদ হতে পারে আদর্শ বিকল্প।
সব উপকরণ ছোট করে কেটে একসঙ্গে মেখে নিলেই তৈরি হয়ে যায় এই সহজ ও সুস্বাদু শীতের সালাদ। চাইলে উপরে পুদিনাপাতা কুচি ছড়িয়ে দিতে পারেন আরও সতেজ গন্ধ ও স্বাদের জন্য।
প্রশ্ন ও উত্তর
১. শীতের বিকেলের সালাদ কি প্রতিদিন খাওয়া যায়?
হ্যাঁ, পরিমিত পরিমাণে প্রতিদিন খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী।
২. এই সালাদে কি চিনি দেওয়া জরুরি?
না, ফলের প্রাকৃতিক মিষ্টিতেই খাওয়া যেতে পারে।
৩. ডায়াবেটিস রোগীরা কি এই সালাদ খেতে পারবেন?
চিনি বাদ দিয়ে ও ফলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করলে খাওয়া যেতে পারে।
৪. সালাদ কতক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকে?
তাজা অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গে খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।
৫. শিশুরা কি এই সালাদ খেতে পারে?
হ্যাঁ, তবে মরিচের পরিমাণ কম রাখা উচিত।

