ম্যাচের উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, ঠিক তখনই অনেক ক্রিকেটারের মুখে দেখা যায় চিউইংগাম। ভিভ রিচার্ডস থেকে বিরাট কোহলি— প্রজন্ম বদলালেও এই অভ্যাস রয়ে গেছে একই রকম। তবে এটা শুধুই অভ্যাস নয়, বরং শরীর ও মস্তিষ্কের একটি বৈজ্ঞানিক প্রতিক্রিয়া।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোনও কিছু ছন্দ করে চিবোলে স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ে, মন স্থির থাকে এবং চাপ কমে যায়। শরীর তখন আরও সতর্ক হয়, মস্তিষ্ক পরিষ্কার থাকে, তাই মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়। এজন্যই খেলোয়াড়েরা ম্যাচ চলাকালীন চিউইংগামকে নীরব সঙ্গী করে নেন।
চিবোনোর ক্রিয়া কর্টিসল নামের স্ট্রেস হরমোন কমাতে সাহায্য করে। এর ফলে উদ্বেগ কমে, শান্তভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় এবং স্মৃতিশক্তিও উন্নত হতে পারে। পাশাপাশি, মুখ ও চোয়ালের নিয়মিত নড়াচড়া রক্তসঞ্চালন বাড়ায়, বেশি অক্সিজেন পৌঁছায় মস্তিষ্কে— মনোযোগ বাড়ার পিছনে যা বড় ভূমিকা রাখে।
দুবাইয়ের ফিটনেস কোচ গুরজিত কৌর জানান, চাপের পরিবেশে চিবোনোর এই সহজ কৌশল অনেককে মানসিকভাবে স্থির থাকতে সাহায্য করে। শুধু খেলোয়াড় নয়, সাধারণ জীবনেও এটি কাজে লাগে।
দৈনন্দিন জীবনে কখন চিউইংগাম সাহায্য করতে পারে?
কাজের চাপ বেড়ে গেলে
পরীক্ষার আগে
জনসমক্ষে কথা বলার আগে
দীর্ঘ সময় যাতায়াত বা একঘেয়ে কাজের মাঝে
মাথা ঠিকমতো কাজ না করলে
অনেকে চিনি থাকার কারণে চিউইংগাম এড়িয়ে চলেন। তবে বাদাম বা ফলের মতো খাবারও দীর্ঘক্ষণ চিবোলে একই উপকার মিলতে পারে। মূল বিষয়টি হলো চিবোনোর ছন্দ, কী চিবোচ্ছেন তা নয়।
1. ক্রিকেটাররা কেন চিউইংগাম চিবোন?
মনোযোগ বাড়াতে, চাপ কমাতে এবং মাথা ঠান্ডা রাখতে চিউইংগাম সহায়ক।
2. চিউইংগাম কি সত্যিই স্ট্রেস কমায়?
হ্যাঁ, চিবোনোর কারণে কর্টিসল কমে, ফলে মানসিক চাপ হ্রাস পায়।
3. চিউইংগাম কি মস্তিষ্কে অক্সিজেন বাড়ায়?
চোয়ালের নড়াচড়ায় রক্তসঞ্চালন বাড়ে, এতে মস্তিষ্কে বেশি অক্সিজেন পৌঁছায়।
4. চিনি-যুক্ত গাম কি ক্ষতিকর?
হ্যাঁ, তাই অনেকেই সুগার-ফ্রি গাম বা বাদাম-ফল চিবোনোর পরামর্শ দেন।
5. পড়াশোনা বা কাজে কি চিউইংগাম সাহায্য করে?
হ্যাঁ, এতে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।

