গীতাপাঠকে কেন্দ্র করে চলা রাজনৈতিক উত্তাপের মাঝেই নতুন মোড়—কংগ্রেস ঘোষণা করল ‘সহস্র কণ্ঠে সংবিধান পাঠ’। রানি রাসমণি রোডে আগামী ২০ ডিসেম্বর দুপুর ১টায় হবে এই বিশেষ কর্মসূচি, যেখানে সাধারণ মানুষও অংশ নিতে পারবেন।
সম্প্রতি ব্রিগেডে গীতাপাঠের অনুষ্ঠানের পর থেকেই নানা বিতর্ক ঘনীভূত হয়। সেই কর্মসূচিতে এক বিক্রেতাকে মারধরের ঘটনাও ক্ষোভ তৈরি করেছে। এরই প্রেক্ষিতে সংবিধানের মূল্যবোধ সামনে আনার উদ্যোগ নিয়েছে কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার জানান, বহুত্ববাদের পক্ষে ‘বন্দে মাতরম’ গেয়ে শুরু হবে সংবিধান পাঠ। তাঁর অভিযোগ, দেশজুড়ে ভাষা, খাদ্য, পোশাক ও ধর্মের নামে বিভাজন বাড়ানো হচ্ছে, আর সংবিধানের মূল আদর্শকে আঘাত করা হচ্ছে রাষ্ট্রশক্তির ছত্রছায়ায়।
শুভঙ্করের দাবি, আরএসএস-সহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি মনুবাদকে সামনে রেখে সংকীর্ণ রাজনীতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। তাই সংবিধান পাঠ শুধু রাজনৈতিক কর্মীদের জন্য নয়, সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছে দেওয়া জরুরি।
এই কর্মসূচির পাশাপাশি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে চিঠি পাঠিয়েছেন শুভঙ্কর। তাঁর দাবি, পঞ্চম শ্রেণি থেকে স্কুলে সংবিধান পড়ানো বাধ্যতামূলক করা হোক। এতে ছাত্রছাত্রীরা পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্ব আরও ভালোভাবে বুঝতে পারবে বলে মত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির। তাঁর কথায়, সংবিধান যথাযথভাবে পড়ানো হলে অনেক নেতা-নেত্রীই সংবিধান বিরোধী মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকবেন।
শেষ পর্যন্ত, ক্রমবর্ধমান বিভাজনের রাজনীতির বিরুদ্ধে সংবিধানের বার্তা সামনে আনার লক্ষ্যেই কংগ্রেসের এই নতুন উদ্যোগ।
1. ‘সহস্র কণ্ঠে সংবিধান পাঠ’ কর্মসূচি কবে হবে?
২০ ডিসেম্বর দুপুর ১টায় রানি রাসমণি রোডে অনুষ্ঠিত হবে।
2. সাধারণ মানুষ কি এই সংবিধান পাঠে অংশ নিতে পারবেন?
হ্যাঁ, কংগ্রেস জানিয়েছে—যে কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগ দিতে পারেন।
3. এই কর্মসূচি ঘোষণার পেছনে প্রধান কারণ কী?
গীতাপাঠকে কেন্দ্র করে বিতর্ক এবং সংবিধান মূল্যবোধ রক্ষার আহ্বান।
4. কংগ্রেস কেন স্কুলে সংবিধান পড়ানো বাধ্যতামূলক করার দাবি তুলেছে?
ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যুক্তিবোধ, দায়িত্ববোধ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে।
5. কর্মসূচির সূচনা কীভাবে হবে?
‘বন্দে মাতরম’ গেয়ে শুরু হবে সংবিধান পাঠ অনুষ্ঠান।

