পড়ুয়াদের জন্য বড় উপহার! এবার ৪৮,০০০ টাকা স্কলারশিপ ও ল্যাপটপ একসঙ্গে, জেনে নিন বিস্তারিত।
শুধু মেধা থাকলেই ভবিষ্যৎ গড়া যায় না, দরকার উপযুক্ত সহায়তারও। আর সেই সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের বিজ্ঞান বিভাগে পড়া মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের জন্য শুরু হল ‘জগদীশ চন্দ্র বসু ন্যাশনাল সায়েন্স ট্যালেন্ট সার্চ স্কলারশিপ’।
এই প্রকল্পের আওতায় শিক্ষার্থীরা বার্ষিক সর্বোচ্চ ₹৪৮,০০০ পর্যন্ত অনুদান পাবেন। শুধু তাই নয়, সেরা ২০ জন মেধাবীকে দেওয়া হবে ল্যাপটপ— যা তাদের পড়াশোনার কাজে বিশেষ সহায়ক হয়ে উঠবে।
স্কলারশিপের বৈশিষ্ট্য কী?
এই স্কলারশিপটি পরিচালনা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বায়োটেকনোলজি দফতর। স্কলারশিপটি দুইটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে— জুনিয়র ও সিনিয়র বিভাগে।
জুনিয়র বিভাগ:
• যোগ্যতা: মাধ্যমিকে অন্তত ৭৫% নম্বর ও বর্তমানে একাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করা।
• অনুদান: প্রতি মাসে ₹১,২৫০ ও বছরে ₹২,৫০০ বই কেনার জন্য।
সিনিয়র বিভাগ:
• যোগ্যতা: উচ্চমাধ্যমিকে ভালো নম্বর পেয়ে বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিক্যালে স্নাতক স্তরে ভর্তি হওয়া।
• অনুদান: প্রতি মাসে ₹৪,০০০ ও বছরে ₹৫,০০০ বই কেনার জন্য।
বিশেষ পুরস্কার: ল্যাপটপ
লিখিত পরীক্ষায় শীর্ষ ১০ জন ছাত্র ও ১০ জন ছাত্রীকে দেওয়া হবে একটি করে ল্যাপটপ— যা তাঁদের পড়াশোনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ:
• আবেদন শুরু: ১ জুন, ২০২৫
• আবেদনের শেষ দিন: ৩১ জুলাই, ২০২৫
• পরীক্ষার তারিখ: ২৪ আগস্ট, ২০২৫
• পরীক্ষাকেন্দ্র: রাজ্যের ৩৪টি কেন্দ্রে একযোগে।
স্কলারশিপ সংক্রান্ত কিছু সাধারণ প্রশ্ন:
১. কারা আবেদন করতে পারবে?
— পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা, যারা মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে ভালো ফল করেছেন এবং বর্তমানে একাদশ শ্রেণি বা স্নাতক স্তরে ভর্তি হয়েছেন।
২. জুনিয়র ও সিনিয়র বিভাগের মধ্যে পার্থক্য কী?
— জুনিয়র বিভাগ একাদশ শ্রেণির জন্য এবং সিনিয়র বিভাগ স্নাতক স্তরের বিজ্ঞান/ইঞ্জিনিয়ারিং/মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের জন্য।
৩. স্কলারশিপের টাকা কীভাবে দেওয়া হবে?
— মাসিক ভিত্তিতে অনুদান এবং বছরে একবার বই কেনার জন্য অতিরিক্ত অর্থ।
৪. ল্যাপটপ কাদের দেওয়া হবে?
— লিখিত পরীক্ষায় শীর্ষ ১০ জন ছেলে ও ১০ জন মেয়েকে পুরস্কার হিসেবে।
৫. কোথায় আবেদন করতে হবে?
— পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দিষ্ট অনলাইন পোর্টাল থেকে আবেদন করতে হবে। বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সমস্ত তথ্য জানানো হবে।
এই স্কলারশিপ শুধুই অনুদান নয়, বরং রাজ্যের বহু মেধাবী পড়ুয়ার উচ্চশিক্ষার স্বপ্নপূরণের সিঁড়ি হয়ে উঠতে চলেছে। তাই আর দেরি নয়— এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন।

