শীতে গরম রাখবে — আদা চায়ের ৫ জাদুকরী উপকারিতা!

Published By: Khabar India Online | Published On:

শীত এসেছে — ছোঁয়াচে গলায় কাশি, বুকে অবিরাম জ্বালা, দূষিত বাতাসে শ্বাসকষ্ট… এই সব দেখলেই মনে হয়, কমলানা কিচেনে গরম এক গ্লাস চা চাই। আর সেই চা যদি হয় গরম “আদা চা”, তাহলে উপকার হয় কতই না!

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত আদা চা পান শ্বাসনালী ও ফুসফুসের জন্য উপকারী। সর্দি-কাশির সময়ই নয়, দূষিত বাতাস ছিঁড়ে চলা শহরতলিতে বাইরে বেরোলেও আদা চা ফুসফুসকে “ক্লীনার” হিসেবে কাজ করে। আদার মধ্যে থাকা জিঞ্জেরল ও শোগল উপাদানগুলো প্রদাহ ও জীবাণুনাশক কাজ করে, যা শ্বাসনালীকে পরিষ্কার রাখে এবং কফকে গলিয়ে বের হতে সাহায্য করে।

গরম আদা চা তৈরি করাও খুব সহজ — শুধু এক ইঞ্চি থেঁতো আদা কুচি, দুই কাপ জল ফুটিয়ে ছেঁকে নিন, চাইলে সামান্য চা পাতা ও মধুও দিতে পারেন।

শীতে শ্বাসকষ্ট, কাশি বা ঠান্ডা কমানোর জন্যই নয় — নিয়মিত আদা চা ফুসফুসকে সচল রাখে, রক্তসঞ্চালন উন্নত করে, এবং দীর্ঘমেয়াদে শ্বাসনালার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

তাই এই শীতে, ধুলিময় রোড বা দূষিত বাতাসে বাইরে থেকে এসে খালি পেটে বা ফিরে এসে গরম আদা চা একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হিসেবে মেনে নিতে পারেন।

 

Q1: শীতের সময় কেন গরম আদা চা বেশি উপকারী?
A1: শীতে শ্বাসনালায় ঠাণ্ডা-শুষ্ক বাতাস ছাড়াও দূষিত বাতাসের প্রবেশ বেশি হয়। আদার প্রদাহনাশক ও জীবাণুনাশক উপাদান ফুসফুসকে সুরক্ষিত রাখে।

Q2: প্রতিদিন আদা চা পান করলে কি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে?
A2: সাধারণত স্বল্প পরিমাণে গরম আদা চা নিরাপদ, তবে অতিরিক্ত গরম চা কিছু ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক বা অম্লতাকেও বাড়াতে পারে।

Q3: আদা চা বানানোর সহজ পদ্ধতি কী?
A3: দুই কাপ জল ফুটিয়ে এক ইঞ্চি কুচানো আদা দিন, কিছুক্ষণ ফুটিয়ে ছেঁকে গরম গরম পান করুন; চাইলে চা পাতা ও মধু দিতে পারেন।

Q4: শ্বাসকষ্ট বা কাশি থাকলে আদা চা কতটা কার্যকর?
A4: আদার জিঞ্জেরল ও শোগল শ্বাসনালীকে প্রশমিত করে, কফ ঝরাতে সাহায্য করে, ফলে শ্বাস নিতে সহজ হয়।

Q5: গরম আদা চা কোন সময় বা পরিবেশে নেওয়া সবচেয়ে ভালো?
A5: সকালে খালি পেটে বা দূষিত বাতাস থেকে ফিরে এসে — বিশেষ করে শীত ও ধুলোময় রাস্তায় বেশি সময় কাটানোর পর — গরম আদা চা পান সুপারিশযোগ্য।