উত্তপ্ত হয়ে উঠল কলকাতার রাজপথ। প্রতিবাদের মিছিল যে এমন সংঘর্ষে রূপ নেবে, তা আঁচ করতে পারেননি অনেকেই।
বাংলাদেশে হিন্দু যুবক দীপু দাস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন ঘেরাও অভিযানের ডাক দেয় বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ। সকাল ১১টা নাগাদ শিয়ালদহ থেকে বেকবাগানের উদ্দেশে শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল।
দুপুর প্রায় ২টো নাগাদ মিছিল বেকবাগানে অবস্থিত Bangladesh Deputy High Commission-এর কাছে পৌঁছতেই পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশের বসানো ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিক্ষোভকারীরা। এক পর্যায়ে একটি ব্যারিকেড ভেঙে কমিশনের কাছাকাছি পৌঁছে যান কয়েকজন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়ে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশের লাঠির আঘাতে কয়েকজন আহত হন বলে অভিযোগ। কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও দাবি বিক্ষোভকারীদের।
ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ। তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে পুলিশ গাড়ি ঘিরে শুরু হয় নতুন করে বিক্ষোভ। পরে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে গাড়ি বের করে পুলিশ।
এই বিশৃঙ্খলার মধ্যেই জমায়েতটিকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়। বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে এলাকা ত্যাগ করার আবেদন জানায় পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল র্যাফ বাহিনী।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: কেন এই বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়েছিল?
উত্তর: বাংলাদেশের ময়মনসিংহে হিন্দু যুবক দীপু দাস হত্যার প্রতিবাদে।
প্রশ্ন ২: বিক্ষোভ কোথা থেকে শুরু হয়েছিল?
উত্তর: শিয়ালদহ থেকে বেকবাগানের উদ্দেশে মিছিল শুরু হয়।
প্রশ্ন ৩: পুলিশের লাঠিচার্জ কেন হয়?
উত্তর: ব্যারিকেড ভেঙে বিক্ষোভকারীরা এগোতে চাইলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করা হয়।
প্রশ্ন ৪: কেউ কি আহত বা আটক হয়েছেন?
উত্তর: কয়েকজন আহত হন এবং কয়েকজনকে আটক করা হয় বলে অভিযোগ।
প্রশ্ন ৫: বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি কেমন?
উত্তর: এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাফ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে।

