দেখতে সাধারণ হলেও এই সবজির ভেতরে লুকিয়ে আছে অবাক করা শক্তি। প্রতিদিনের খাবারে অবহেলিত এক উপাদানই হতে পারে সুস্থ জীবনের চাবিকাঠি।
কলার মোচা বা কলার ফুল বহুদিন ধরেই এশিয়া ও আফ্রিকার নানা দেশে খাদ্য ও লোকজ ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সামান্য কষাটে স্বাদের এই সবজিটি আজ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছেও পরিচিত একটি পুষ্টিকর উপাদান হিসেবে।
কলার মোচায় রয়েছে প্রচুর ফাইবার, ভিটামিন এ, সি, ই, আয়রন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই কারণেই কলার মোচা স্বাস্থ্যগুণ আধুনিক পুষ্টিবিজ্ঞানে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কলার মোচা অত্যন্ত উপকারী। এর ফাইবার রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিকের ব্যথা ও অতিরিক্ত রক্তপাত কমাতে কলার ফুল কার্যকর। স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্যও এটি উপকারী, কারণ এটি দুধের উৎপাদন বাড়াতে সহায়তা করে।
হজমশক্তি বাড়ানো, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা এবং অ্যানিমিয়া প্রতিরোধেও এই সবজির জুড়ি নেই। মানসিক চাপ কমাতেও এর ম্যাগনেসিয়াম উপাদান সাহায্য করে।
রান্নার আগে কলার মোচার বাইরের শক্ত খোসা ফেলে ভেতরের নরম অংশ ব্যবহার করতে হয়। ঘণ্ট, ডালনা বা ভাজি—সবভাবেই এটি স্বাদ ও স্বাস্থ্যের সমন্বয় ঘটায়।
প্রশ্ন ও উত্তর
১. কলার মোচা কি প্রতিদিন খাওয়া যায়?
হ্যাঁ, পরিমিত পরিমাণে সপ্তাহে ২–৩ দিন খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী।
২. ডায়াবেটিস রোগীরা কি কলার মোচা খেতে পারেন?
অবশ্যই পারেন, এটি রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
৩. কলার মোচা কীভাবে কষাভাব কমানো যায়?
হালকা নুন ও হলুদ মেশানো জলে সেদ্ধ বা ভাপিয়ে নিলে কষাভাব কমে।
৪. গর্ভবতী নারীদের জন্য কি এটি নিরাপদ?
হ্যাঁ, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়াই ভালো।
৫. কলার মোচা কি অ্যানিমিয়ায় উপকারী?
হ্যাঁ, এতে থাকা আয়রন হিমোগ্লোবিন বাড়াতে সাহায্য করে।

