হঠাৎ করেই যেন থমকে গিয়েছে শহরের স্বাভাবিক ছন্দ। কাউন্সিলার নেই, চেয়ারম্যানও শহরের বাইরে—অনাস্থা জটে অভিভাবকহীন বালুরঘাট পুরসভা। ফলে নাগরিক পরিষেবা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।
রবিবার থেকেই একের পর এক কাউন্সিলার আত্মগোপনে যাওয়ায় পুরসভা কার্যত ফাঁকা। সকাল থেকে নানা কাজে এসে কাউন্সিলার না পেয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে বহু মানুষকে। এই অবস্থায় একমাত্র আরএসপি কাউন্সিলার প্রবীর দত্তই পুরসভায় এসে পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁর কথায়, নিজেদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলারকে না পেয়ে মানুষ তাঁর বাড়িতেই ভিড় করছেন।
অন্যদিকে, চেয়ারম্যান অশোক মিত্র শহরের বাইরে থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে। মঙ্গলবার ফোনে তিনি এগজিকিউটিভ অফিসারকে দায়িত্ব অর্পণের কথা জানালে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার নীতা নন্দীকে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দেওয়ার চিঠি ইস্যু করা হয়। তবে তাতেও স্বস্তি ফেরেনি।
তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলেই এই অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। অনাস্থা প্রস্তাব ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোরে প্রশ্নের মুখে পুর প্রশাসন। কবে স্বাভাবিক হবে পরিষেবা, সেই দিকেই তাকিয়ে বালুরঘাটবাসী।
প্রশ্ন ও উত্তর
বালুরঘাট পুরসভায় সমস্যা কেন তৈরি হয়েছে?
তৃণমূল কাউন্সিলারদের অনাস্থা ও বিদ্রোহের জেরেই এই অচলাবস্থা।চেয়ারম্যান কোথায় আছেন?
তিনি ব্যক্তিগত কাজে জেলার বাইরে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন।এই সময়ে কে পরিষেবা দিচ্ছেন?
মূলত একমাত্র আরএসপি কাউন্সিলার প্রবীর দত্ত পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।অনাস্থা প্রক্রিয়া কোথায় দাঁড়িয়ে?
প্রশাসনিকভাবে প্রক্রিয়া শুরু হলেও বৈঠক এখনও হয়নি।কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে?
অনাস্থা বৈঠক ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের পরেই পরিষ্কার হবে।

