অ্যাশেজের উত্তাপ বাড়তেই মাঠে দেখা গেল একতরফা প্রভাব—অস্ট্রেলিয়া যেন ইংল্যান্ডকে কোনও সুযোগই দিতে চাইছে না। পার্থে মাত্র দুই দিনে হার, তার পর ব্রিসবেনে আরও দাপুটে জয়। দুই ম্যাচ শেষে অ্যাশেজ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে রইল অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম ইনিংসে জো রুটের ১৩৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংসেও ভর করে বড় লড়াই দাঁড় করাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ওপেনার জ্যাক ক্রলির ৭৬ রানের ইনিংসও জরুরি সময়ে তেমন সাহায্য করেনি। শেষ পর্যন্ত ৩৩৪ রানে গুটিয়ে যায় দল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একাই ৬ উইকেট নিয়ে ভয়ঙ্কর রূপ দেখান মিচেল স্টার্ক।
জবাবে নামতেই ব্যাটে ঝড় তোলে অস্ট্রেলিয়া। কোনও সেঞ্চুরি না থাকলেও দলের প্রায় সবাই রান পেয়ে ৫১১ রানের বড় পাহাড় গড়ে তোলে তারা। স্টার্ক, ওয়েথারল্যান্ড, লাবুশেন, ক্যারি, স্মিথ—সবার ব্যাটেই সমান ছন্দ। ইংল্যান্ডের হয়ে ব্রাইডন কার্স ৪ উইকেট তুলে নেন।
দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে মিসেল নিসারের গতির সামনে দাঁড়াতেই পারেনি ইংল্যান্ড। মাত্র ২৪১ রানেই অলআউট হয়ে মাথা নিচু করে ফিরতে হয় তাদের। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৫০ এবং জ্যাক ক্রলির ৪৪ রান ছাড়া আর কেউ প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
৬৫ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১০ ওভারেই ম্যাচ শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডে-স্টাইলে ব্যাটিং করে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নেয় তারা।
পার্থে ম্যাচ সেরা হওয়ার পর ব্রিসবেনেও নিজের আধিপত্য বজায় রেখেছেন মিচেল স্টার্ক। দুই ইনিংসে ৮ উইকেটের সঙ্গে ব্যাট হাতে ৭৭ রান—অস্ট্রেলিয়ার জয়ে যিনি ছিলেন সবচেয়ে উজ্জ্বল মুখ।
১. অ্যাশেজ সিরিজে বর্তমানে কারা এগিয়ে?
অস্ট্রেলিয়া ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে।
২. ব্রিসবেন টেস্টে ম্যাচসেরা কে হন?
মিচেল স্টার্ক ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন।
৩. ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান কে করেন?
জো রুট ১৩৮ রানের ইনিংস খেলেন।
৪. দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ব্যর্থতার কারণ কী?
মিসেল নিসারের গতির সামনে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা টিকতে পারেনি।
৫. অস্ট্রেলিয়ার জয়ের মূল নায়ক কারা?
মিচেল স্টার্ক, নিসার এবং দলের ব্যাটিং ইউনিট।

