এআই প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ বিল কমানোর পথে কেন্দ্র

Published By: Khabar India Online | Published On:

বিদ্যুৎ বিল কমানোর চেষ্টায় এবার আরও এক ধাপ এগোল কেন্দ্র। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকদের লগ্নি কমানো এবং শক্তির ব্যবহার আরও কার্যকর করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এই উদ্যোগ ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

দিল্লিতে আয়োজিত একটি জাতীয় সম্মেলনের মাঝে বিদ্যুৎ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব শশাঙ্ক মিশ্র জানান, এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করলে চুরি-প্রবণ এলাকাগুলি দ্রুত শনাক্ত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি, বিতরণ সংস্থাগুলি অস্বাভাবিক খরচের ধরনও সহজেই বুঝতে পারবে, যা গ্রাহকদের অতিরিক্ত বিল থেকে রক্ষা করতে সহায়ক হবে।

মিশ্র আরও জানান, মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জিপিটি-ভিত্তিক সিস্টেম ও লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল নিয়ে কাজ করছে, যা সিদ্ধান্ত গ্রহণ, কর্মপ্রবাহের স্বয়ংক্রিয়করণ এবং রিয়েল-টাইম মনিটরিং ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে। এতে বিদ্যুৎ বিতরণ খাতে প্রযুক্তিগত ও বাণিজ্যিক ক্ষতি অনেকটাই কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এদিকে জ্বালানি বিশেষজ্ঞদের দাবি, দ্রুত বাড়তে থাকা ডেটা সেন্টারের চাহিদা মেটাতে ভারত এখন অত্যন্ত সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। বিদ্যুৎকে ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে তুলে ধরে দেশটি আন্তর্জাতিক শক্তি বাজারে নেতৃত্বদানের ক্ষমতাও অর্জন করতে পারে।

গত অক্টোবরে কেন্দ্র প্রকাশ করে বিদ্যুৎ (সংশোধন) বিল, ২০২৫-এর খসড়া, যেখানে শিল্প খাতে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, ক্রস-ভর্তুকি কমানো এবং খরচ অনুযায়ী শুল্ক নির্ধারণের কথা উল্লেখ রয়েছে। একই সঙ্গে কৃষক ও নিম্ন আয়ের পরিবারের ভর্তুকি অক্ষুণ্ণ রাখার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।

নতুন এই বিলের লক্ষ্য—পুরনো একচেটিয়া সরবরাহ ব্যবস্থাকে সরিয়ে কর্মক্ষমতা-ভিত্তিক প্রতিযোগিতা তৈরি করা। এতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা উভয়েই উন্নত পরিষেবা দেওয়ার সুযোগ পাবে, এবং সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ ব্যবহারে আরও বেশি মূল্য পাবেন।

1. কেন বিদ্যুৎ বিলে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে?
বিদ্যুৎ চুরি কমানো, অস্বাভাবিক খরচ শনাক্ত করা এবং গ্রাহক বিল কমানোর জন্য এআইকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

2. এআই কীভাবে বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাকে সাহায্য করবে?
এআই-চালিত অ্যানালিটিক্স বিবিধ খরচের ধরণ চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করবে।

3. জিপিটি-ভিত্তিক সিস্টেমের ভূমিকা কী?
এটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ, স্বয়ংক্রিয়করণ এবং রিয়েল-টাইম মনিটরিং আরও শক্তিশালী করবে।

4. বিদ্যুৎ (সংশোধন) বিল ২০২৫-এর মূল লক্ষ্য কী?
শিল্প খাতে প্রতিযোগিতা বাড়ানো, শুল্ক যুক্তিসঙ্গত করা এবং গ্রাহকদের নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ প্রদান।

5. সাধারণ গ্রাহক কীভাবে উপকৃত হবেন?
চুরি কমবে, ক্ষতি হ্রাস পাবে, ফলে বিল কমার পাশাপাশি পরিষেবা উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে।