বালিগঞ্জে শেষ মুহূর্তে প্রার্থী বদল, নিশার জায়গায় আবুল হাসানকে নামাল জনতা উন্নয়ন পার্টি

Published By: Khabar India Online | Published On:

ভোটের লড়াই যত ঘনাচ্ছে, ততই বাড়ছে রাজনৈতিক চমক। বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে এবার তেমনই এক নাটকীয় সিদ্ধান্ত নিল Janata Unnayan Party। দলের আগে ঘোষিত প্রার্থী নিশা চট্টোপাধ্যায়ের নাম বাতিল করে এই হাই-প্রোফাইল কেন্দ্রে প্রার্থী করা হলো প্রাক্তন পুলিশ কর্তা আবুল হাসানকে।

দলের প্রতিষ্ঠাতা ও ভরতপুরের বিধায়ক Humayun Kabir মনে করছেন, বালিগঞ্জের সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক সমীকরণ মাথায় রেখে এই পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক মহলের মতে, সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে প্রভাব ফেলতেই আবুল হাসানকে সামনে আনা হয়েছে।

প্রথমে নিশা চট্টোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা হলেও শেষ মুহূর্তে দলের অন্দরের একাধিক বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত বদল করা হয়। হুমায়ুন কবীর স্পষ্ট জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা কিছু ভিডিও দলের ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বলেই এই সিদ্ধান্ত।

বালিগঞ্জ কেন্দ্রটি বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখানকার বর্তমান বিধায়ক Babul Supriyo। এই কেন্দ্রে আবুল হাসানকে প্রার্থী করে তৃণমূল ও বিজেপি—দুই পক্ষকেই চাপে রাখতে চাইছে জনতা উন্নয়ন পার্টি।

স্থানীয়ভাবে পরিচিত মুখ আবুল হাসানের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা এবং জনসংযোগই তাঁকে এগিয়ে রাখবে বলে মনে করছেন দলের একাংশ। ফলে বালিগঞ্জে আসন্ন নির্বাচনী লড়াই যে আরও হাড্ডাহাড্ডি হতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য।

প্রশ্ন ও উত্তর 

 বালিগঞ্জে কেন প্রার্থী বদল করল জনতা উন্নয়ন পার্টি?
 সামাজিক সমীকরণ ও দলের ভাবমূর্তি রক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত।

 নিশা চট্টোপাধ্যায়কে কেন বাদ দেওয়া হলো?
 সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা কিছু ভিডিও নিয়ে দলের আপত্তির কারণেই পরিবর্তন।

 আবুল হাসানের রাজনৈতিক পরিচয় কী?
 তিনি প্রাক্তন পুলিশ কর্তা এবং এলাকায় পরিচিত মুখ।

 এই সিদ্ধান্তে কারা চাপে পড়তে পারে?
 তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি—দুই দলই।

 বালিগঞ্জ কি এখনো তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি?
 হ্যাঁ, তবে নতুন সমীকরণে লড়াই কঠিন হচ্ছে।