মুখোশ কে কেন্দ্র করে খুন হল ১০ বছরের এক বালক, গাজলের চাকনগর অঞ্চলের ডুবাখোকশন এলাকায়

Published By: Khabar India Online | Published On:

সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ   মুখোশ কে কেন্দ্র করে খুন হল ১০ বছরের এক বালক। ঘটনাটি ঘটে গাজলের চাকনগর অঞ্চলের ডুবাখোকশন এলাকায়। জানা যায়, চাকনগর অঞ্চলের ডুবা খোকশন এলাকার বাসিন্দা রামনাথ মন্ডল কয়েকজন বালকদের নিয়ে বালকদের মুখে মুখোশ পরিয়ে ঢাক বাজিয়ে বাড়িতে বাড়িতে নেচে চাল তুলছিলেন। মুখোশ নিয়ে নাচার পর মুখোশগুলো রাখছিলেন দেবাশীষ সরকারের কাছে। ছেলেটির বয়স ১০ বছর। খেলাধুলার পর রামনাথ মন্ডল দেখতে পায় একটি মুখোশ পাওয়া যাচ্ছে না। তখন দেবাশীষ সরকারকে চাপ দিতে থাকে মুখোশটি কোথায় রেখেছিস ? তারপর বাকি ছেলেদেরকে বাড়ি যেতে বলে। রামনাথ মন্ডল বয়স ২৫। দেবাশীষ সরকারকে নিয়ে মুখোশ খোঁজাখুঁজি করার জন্য যায়। তারপর রামনাথ মন্ডল বাড়িতে ফিরে আসলেও দেবাশিস সরকার বাড়িতে ফিরে আসেনি রাতে। তখন তার মা ও দাদা তাকে খোঁজাখুঁজি করে। যখন পাননি তখন রামনাথ মণ্ডলের বাড়িতে যায়। রামনাথ এর বাড়িতে গিয়ে রামনাথ কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে কিছু বলতে চান না। একে একে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পারেন তখন রামনাথ মন্ডল কে সবাই মিলে চাপ দিতে থাকে। তারা জিজ্ঞাসা করেন দেবাশিস সরকার কোথায় আছে? তখন রামনাথ মন্ডল মোটরসাইকেলে করে কয়েকজন কে সাথে নিয়ে এদিক ওদিক যায়। যেখানে তাদের নিয়ে যায় সেখানে তাকে পাওয়া যায় না।

আরও পড়ুন -  মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্লাস্টিক সার্জারি ও নিউরো সার্জারির বর্হিবিভাগ পরিষেবা চালু হল

অবশেষে তাকে এলাকাবাসী মারধর করে তখন সে সত্য কথা বলে যে, এবার যেখানে আছে সেখানে নিয়ে যাচ্ছে তখন তাদেরকে নিয়ে যান টাঙ্গন নদীর ধারে সেখানে গিয়েও খোঁজাখুঁজি করে প্রথমে পাওয়া যায় না। অবশেষে খোঁজাখুঁজি করে দেখতে পায় নদীর তীরে তার মৃতদেহ পড়ে আছে। তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তখন এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পরে। তারা খবর দেন গাজোল থানায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে গাজোল হসপিটালে নিয়ে আসেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রামনাথ মন্ডল কে গাজোল থানায় নিয়ে আসেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে অত্র এলাকায় ব্যাপক ভাবে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে। এলাকাবাসীদের ধারণা একটা মুখোশ কে কেন্দ্র করে তাকে খুন করা হয়েছে, তার মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আজ মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় গাজোল থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন -  লালা পরীক্ষার পর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে