খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বহুল প্রচলিত একটি শব্দ- ‘ডিপ্রেশন’
কাজের চাপে বলা যেতে পারে, কখনও বা অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ার ভয়ে, রোজকার জীবনে অবসাদ গ্রাস করে চলেছে। গোটা বিশ্বেই ডিপ্রেশন বা বিষন্নতাকে এক ভয়াবহ ব্যাধি বলে মনে করা হয়। মন খারাপ, স্ট্রেস, কাজের চাপ এ সব আজকাল আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। চাইলেও আপনি তার থেকে পালিয়ে যেতে পারবেন না। তার মধ্যে থেকেই কেউ বেড়াতে গিয়ে, কেউ ছবি তুলে, কেউ বা গান শুনে ভালো থাকা চেষ্টা করেন। আর এই ছোট ছোট আনন্দের মুহূর্তগুলির মধ্যেই জীবনের কঠিন সময়টা এড়িয়ে যাওয়া যায় সহজেই।
কিন্তু যারা ডিপ্রেশনে ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে অঙ্কটা এত সহজ হয় না। মন খারাপের অন্ধকারে তাঁরা ক্রমশ তলিয়ে যেতে আরম্ভ করে। এমনকী কাছের মানুষের সঙ্গেও ভাগ করে নিতে পারেন না সে মলিনতা।
নিরাশ লাগবে সারাক্ষণ, যে কোনও পরিস্থিতিতেই আগে নেগেটিভ চিন্তাভাবনা তার মাথায় আসবে। অবসাদগ্রস্থ হওয়ায় সে নিজেকে অসহায় মনে করবে। কোনও কাজই তার করতে ইচ্ছে হবে না।
আবেগের উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে না, কান্না, রাগ, বিরক্তি – কোনওটার উপরই নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন না সে। সোজা কথায় ধরতে গেলে মুড সুইং হতে থাকবে। খেলাধুলো, গান শোনা, বন্ধুদের সঙ্গে সিনেমা দেখতে যাওয়ার নাম শুনলেই ক্লান্তি আসবে। উৎসাহ পাবে না কিছুতেই। কোনও হবি বা বিনোদনই তাকে আর আকর্ষণ করবে না।
ঘুমের সমস্যা, ডিপ্রেশন প্রথমেই আপনার এনার্জির ভাঁড়ারে থাবা বসাবে, যে যে কাজগুলো করতে একটা সময়ে ভালো লাগত, সেগুলো আর উপভোগ করবেন না এবং সারাদিন ক্লান্তিতে ভুগবেন। অথচ ঘুম আসবে না।
নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া, পরিবার-পরিজন থেকে নিজেকে দুরে সরিয়ে রাখবে। একসময় যাদের পছন্দ করত তাদের থেকেও সরে আসবে। সামাজিক যে কোনও অনুষ্ঠান থেকে নিজেকে বিরত রাখবে সে। নিজের প্রতি বিতৃষ্ণা জন্মাবে। ছবি – সংগৃহীত।