খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসছেন তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। এখানেই শেষ পর্যন্ত তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল মিটিং-এ আবার রাজ্যে তৃতীয়বারের জন্য সরকার গঠনের কথা ঘোষণা করবেন। তিনি এই সবুজ কার্পেট ঢাকা, জায়ান্ট স্ক্রিন লাগানো প্যান্ডেল থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখবেন।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফলের ট্রেন্ড দেখে বলেছেন, “রাজ্যে আবার দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে নিয়ে তৃণমূল আবার ক্ষমতায় আসছে। নন্দীগ্রাম বিধানসভায় যে ফলের ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে সেটা বদলে যাবে। যত রাউন্ড বাড়বে দেখা যাবে তৃণমূলই সেখানে জয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।”
আসলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ যে ভাবে রাজ্যে ডেইলি প্যাসেঞ্জারের মতো এসে সভা করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী “দিদি, ও দিদি”, বলে ডেকেছেন সেটা যে রাজ্যের মানুষ মেনে নেননি ভোটার ফল তাই প্রমাণ করছে। এছাড়াও তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিন্ডিকেট, কাটমানি, তোলাবাজির যে অভিযোগ এনেছেন সেটাও রাজ্যের মানুষ যে মেনে নেয়নি।
রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা যে এবার হাত উপুড় করে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে সেটা পোস্টাল ব্যালটের ফলে স্পষ্ট হয়ে গেছে। এ ছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, দুয়ারে রেশনের ঘোষণা, কৃষকদের একর পিছু ১০ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষণা যে ডাবল ইঞ্জিন সরকারের ধারণাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
যে কোনও মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল মিটিং-এ হাজির হতে পারেন। কারণ তৃণমূল ১০০% আত্মবিশ্বাসী। তবে করোনা বিধির কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে কেউ আস্তে পারছেন না।