খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ করোনার জেরে আজ বহু মানুষ মৃত্যুর সাথে লড়াই করছে। বহু মানুষ আজ অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছে তো কেউ বেডের অভাবে মারা যাচ্ছেন। সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেকে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গিয়েছে। দেশে এখন মৃত্যুর মিছিল চলছে। দাহ করার জায়গা কম পড়ছে। ভারতে সবচেয়ে ভয়ংকর অবস্থা এখন মহারাষ্ট্র আর দিল্লিতে। করোনা একপ্রকার দেশে মহামারির আকার ধারণ করেছে। এই কারণে আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটেছে মহারাষ্ট্র আর দিল্লি।
View this post on Instagram
এই চরম সঙ্কোটময় অবস্থায় অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করলেন এবং প্রথম সারির যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়ে সোশ্যাল একটি আবেগঘন ভিডিও প্রকাশ করলেন। এই ভিডিয়োতে মূলত অভিনেত্রী দেশের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্যসেবা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বললেন। তিনি বললেন, তিনি ঠিক নেই আর পরেও ঠিক হতে পারবেন না। চারপাশে যা ঘটছে তা থেকে তিনি এই অবর্ণনীয় এক ব্যথা অনুভব করছেন। তিনি আরো বলতে গিয়ে চোখে জল, কোনও সন্তানরা কী ভাবে তাঁদের পিতা-মাতার মৃত্যু কিংবা পিতা-মাতার তাঁদের সন্তানের মৃত্যু কীভাবে সহ্য করতে পারে। বিশেষত, যখন তাঁদের অন্তিম মুহুর্তগুলোতেও তাঁদের প্রিয়জনকে একবার দেখার অনুমতি দেওয়া হয় না, তাঁদের শেষকৃত্য সম্পন্নের অনুমতি দেওয়া হয় না, এমন এক অবস্থায় সম্মুখীন সকলে। অভিনেত্রী সকলকে আর্জি জানান, মানুষ যেন এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে দাঁড়ান।
এছাড়া শিল্পা করোনার সাথে যারা দিনরাত লড়ছে তাঁদের মধ্যে বিএমসি কর্মী, স্বাস্থ্যসেবা কর্মকর্তাদের এবং সমস্ত ফ্রন্টলাইন কর্মীদের কোনো ব্রেক ছাড়াই এত কিছু করার জন্য’ ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
শিল্পা তাঁর অনুরাগীদের সাম্প্রতিক সকল অভাবগ্রস্তদের সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছেন। আরো বলেন, যারা সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জড়িত যার লক্ষ্য করোনা ভাইরাস মহাসঙ্কটের এই পরিস্থিতিতে ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে থাকেন তাঁদের সাথে যোগাযোগ করে সাহায্য করার অনুরোধ করেন।
শিল্পা এই ভিডিয়োতে ‘খানা চাহিয়ে’ নামক একটি সংস্থার কথাও বলেছেন। তিনি বলেন, এই সংস্থার সদস্যরা অসহায় মানুষদের মুখে খাবার তুলে দেয়। তিনি তাঁর অনুগামীদের সাথে তাঁর সহযোগী শিল্পীদের এই উদ্যোগে সাহায্য করেন। সকলের উদ্দেশ্যে একটি লিঙ্কের কথা বলেছেন। এবং সেখানে দয়ালুভাবে অনুদানের জন্য বললেন। আর তিনি সকলকে মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং ভ্যাকসিন নেওয়ার অনুরোধ করে।