” মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান, মুসলিম তার নয়ন মনি হিন্দু তাহার প্রাণ “

Published By: Khabar India Online | Published On:

সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ

“মোরা এক বৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান, মুসলিম তার নয়ন মনি হিন্দু তাহার প্রাণ ” অসহায় দুঃস্থ হিন্দু পরিবারের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন মুসলিম পরিবারের ছেলে তথা
বিশিষ্ট সমাজসেবী মাইনুল সেখ। অভিভাবকহীন হয়ে পড়া পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিলেন তিনি। সোমবার নিজে উপস্থিত থেকে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের সমস্ত ব্যবস্থা করে দেন তিনি।

ইংরেজবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের কাজীগ্রামের বাসিন্দা সন্তোষ মন্ডল। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গত বুধবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়। পেশায় শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। দুই ছেলে এক মেয়ে এবং পরিবারে স্ত্রী আছে। দুই ছেলের বয়স ১২ এবং ১৪ বছর।

আরও পড়ুন -  সমস্ত জল্পনার অবসান

মেয়ের বয়স ১৮। পরিবারে তিনিই ছিলেন একমাত্র ভরসা। দুই ছেলে কাজিগ্রাম হাই স্কুলে পড়াশোনা করে। মেয়েও পড়াশোনা করে একই স্কুলে। বাবাকে হারিয়ে এখন অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছেন তারা। এদিকে পরিবারের অভিভাবকের মৃত্যুতে শোকছন্ন গোটা পরিবার। শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান কিভাবে করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না তারা।

আরও পড়ুন -  জলমগ্ন হাবড়া, সমাধানের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ প্রতিনিধি দল

ঠিক এমন সময় হিন্দু মুসলমান ভেদাভেদ না দেখে আলাদিনের মায়ার প্রদীপের মতো হাজির হয়ে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের সমস্ত দায়িত্ব তুলে নিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী মাইনুল সেখ। সমস্ত ব্যবস্থা করার পাশাপাশি শ্মশান

যাত্রীদের খাওয়ানোর ব্যবস্থাও করেন তিনি।

এদিন আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিবেশী তথা কাজি গ্রাম অঞ্চলের প্রধান সত্যজিৎ চৌধুরী, উপ-প্রধানমন্ত্রী মন্টু ইসলাম সহ অন্যান্য প্রতিবেশীরাও। এই বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা তথা কাজি গ্রাম অঞ্চলের প্রধান সত্যজিৎ চৌধুরী, তার এলাকায় অসহায় এক পরিবারের সদস্য হঠাৎই মারা যায়। তারা এতটাই অসহায় যে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করার সামর্থ ছিলনা। এই কথা শুনতে পেয়ে সেই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ান সমাজসেবী মাইনুল সেখ। তিনি সমস্ত ব্যবস্থা করে দেন। তিনি আরো জানান তিনি একজন মুসলিম পরিবারের ছেলে অন্যদিকে যিনি মারা গেছেন তিনি হিন্দু পরিবারের। আমরা হিন্দু – মুসলমান সকলে ভাই ভাই এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দেব আজকের দিনে।

আরও পড়ুন -  Qatar World Cup: দ্রুতগামী বল দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ হবে, ইতিহাসে প্রথম