সত্যজিৎ চক্রবর্তী, খবরইন্ডিয়াঅনলাইনঃ দুর্গাপুর পশ্চিম কেন্দ্রে মোট ১০ জনের মধ্যে লড়াই হবে। এখানে গোঁজ প্রার্থী দেবার পরিকল্পনা চলছে। এর তদন্ত করতে ১৭ই এপ্রিল শনিবার রাজ্যের বিএমজেটিইউর সাধারণ সম্পাদক বৈদ্য দে যাবে দুর্গাপুর আঞ্চলিক কার্যালয়। কারণ বৈদ্যবাবু জানেন, পশ্চিম বর্ধমান জেলায়, বিশেষ করে দুর্গাপুরে বিজেপি প্রার্থীদের বিরুদ্ধে গোঁজ বা নির্দল প্রার্থী নিয়ে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। সেই কারণে আগামী ১৭ এপ্রিল কলকাতা থেকে দুর্গাপুরে যাবেন, বিজেপির শ্রমিক সংগঠন “ভারতীয় জনতা মজদুর ট্রেড ইউনিয়ন ( বিজেএমটিইউ )’র রাজ্য সাধারণ সম্পাদক বৈদ্য দে। বৈদ্যবাবু বলেন, আমি বুঝি এর মধ্যে অন্য নাটক চলছে। যারা গোঁজ প্রার্থী হিসাবে দাঁড়াবেন, পেছন থেকে আমাদের সংগঠনের কেউ কেউ সাহায্য করছেন। সেটাই সরেজমিনে তদন্ত করার জন্যই তিনি দুর্গাপুরে যাবেন।
বৈদ্যবাবু দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, যদি দেখা যায় আমাদের নেতাদের মধ্য ব-কলমে কাহাকেও সাহায্য কড়ছে, তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হবে। নির্বাচনে হারাতে বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে যে সমস্ত নির্দল বা গোঁজ প্রার্থীরা দাঁড়িয়েছেন, তাদেরকে যদি বিজেএমটিইউ’র কোনও নেতা পেছন থেকে সহযোগিতা বা সাহায্য করছেন, সেই অভিযোগের স্বপক্ষে যদি কোনও প্রমাণ পাওযায় যায় তাকে তৎক্ষণাৎ বহিস্কার করা হবে। কোনোভাবেই রেহাত করা হবে না।
উল্লেখ করা যেতে পারে, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় আসানসোল দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে মূলত শ্রমিকদের প্রভাব বেশি। আর সে ক্ষেত্রে বিধানসভা নির্বাচনে শিল্পাঞ্চলের প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারিত হয় শ্রমিকদের ভোটে।