খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, ওয়েবডেস্কঃ করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে মাস্করে বিকল্প নেই। শুধু করোনা নয়, অন্যান্য অনেক ভাইসরাস থেকেও মাস্ক আমাদের সুরক্ষা দেয়। মহামারিতে সবচেয়ে প্রচলিত সুরক্ষা উপকরণ হলো ফেস মাস্ক ও গ্লাভস। এদিকে বিশেষজ্ঞরা মাস্ক ব্যবহারের পক্ষে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। কেননা সুরক্ষিত থ্কতে মাস্কের বিকল্প নেই।
এছাড়া সকল শ্রেণীর মানুষ গুরুত্ব সহকারে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনে চলছেন। প্রতিদিন নতুন নতুন মাস্ক ব্যবহার করা সম্ভব নয় বলে অনেকে মাস্ককে ভাইরাসমুক্ত করার সঠিক পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। আসুন জেনে নেই মাস্ক ভাইরাসমুক্ত করার নিরাপদ ও কার্যকর প্রক্রিয়া সম্পর্কে
কাপড়ের মাস্ক
পোশাকের মতো ধুয়ে কাপড়ের মাস্ককে ভাইরাসমুক্ত করতে পারবেন। কাপড়ের মাস্কের করোনাভাইরাস ধ্বংস করতে ওয়াশিং মেশিনে দিয়ে দিন, কিন্তু এর সঙ্গে অন্যান্য কাপড় দেবেন না। ওয়াশিং মেশিনের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ করুন ও সাধারণ লন্ড্রি ডিটারজেন্ট ব্যবহার করুন।
হাতে কাপড়ের মাস্ক ধুতে গেলে ব্লিচ সল্যুশন
হাতে কাপড়ের মাস্ক ধুতে গেলে আগে ব্লিচ সল্যুশন তৈরি করতে হবে। আধ লিটার জলে ২ চা-চামচ ব্লিচ মেশালেই হবে। এ কাজে কক্ষ তাপমাত্রার জল ব্যবহার করুন। এবার এ সল্যুশনে কাপড়ের মাস্ককে ৫ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে নিন।
সার্জিক্যাল মাস্ক ও এন-৯৫ রেসপিরেটর
এন-৯৫ রেসপিরেটর ও সার্জিক্যাল মাস্ককে ভাইরাসমুক্ত করতে সময়ের ওপর নির্ভর করতে হবে। উভয় মাস্ককে পুনরায় ব্যবহারের আগে ভাইরাসমুক্ত করতে একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। অনেকে এসব মাস্কের ওপর জীবাণুনাশক তরল ছিটাতে বলেন, কিন্তু এতে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ব্যবহৃত মাস্ককে পুনরায় ব্যবহারের আগে ৭২ ঘণ্টা কোনো নিরাপদ স্থানে ঝুলিয়ে রাখুন অথবা কাগজের ঠোঙায় রেখে দিন।
গবেষণায় দেখা গেছে, এসব মাস্কের করোনাভাইরাস সর্বোচ্চ ৭২ ঘণ্টা সক্রিয় থাকে। কাগজের ঠোঙা ছাড়া অন্য ব্যাগ ব্যবহার করবেন না। কাগজ ব্রিদেবল ম্যাটারিয়াল বলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনাভাইরাস ধ্বংস হবে এটা নিশ্চিত। কিন্তু প্লাস্টিকের ব্যাগ অথবা অন্য ব্যাগ ব্যবহার করলে এ সময়ের মধ্যে ভাইরাসটি নিষ্ক্রিয় নাও হতে পারে, কারণ মাস্কে তরলের উপস্থিতি থাকলে এসব ব্যাগ ইনকিউবেটর হিসেবে কাজ করতে পারে। ছবি – গুগল।