সাধন মণ্ডল, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, বাঁকুড়াঃ ভোট – পরবর্তী আলোচনায় তালডাংরা বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। জঙ্গলমহলে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হয়েছে বাঁকুড়া জেলার আটটি বিধানসভার তারমধ্যে তালডাংরা বিধানসভা অন্যতম। এই বিধানসভায় জয়ের লক্ষ্যে মাটি আঁকড়ে পড়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী। নাম ঘোষণার পর থেকেই তিনি ঘাঁটি করেছিলেন সিমলাপাল বাজারে। নাওয়া খাওয়া ভুলে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বিধানসভা এলাকার প্রান্তে প্রান্তে, গ্রামেগঞ্জে, ভোট প্রচার করে চষে বেড়িয়েছেন সারা বিধানসভা এলাকা। দুদিনের বিশ্রামের পর আবার বুথ ভিত্তিক সমীক্ষায় বসে পড়েছেন তিনি।
ভোট পরবর্তী কর্মসূচি এবং কোন এলাকায় কেমন ভোট হয়েছে তার পর্যালোচনায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে দুবরাজপুর অঞ্চলে আলোচনা সভা করলেন তিনি। সাথে এলাকার মানুষদের অভাব-অভিযোগের কথা শুনলেন এবং সভা বললেন যদি কারো কোন রকম অসুবিধা হয় কি চিকিৎসা ব্যবস্থা, কি খাদ্য ব্যবস্থা, যে কোনো সমস্যা হলে যেন তাকে তাড়াতাড়ি খবর দেওয়া হয় সুবহা একটি হবেই।
তার এই আশ্বাস বাণীতে বুকে বল পেয়েছেন দলীয়কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ। আজকের পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে হাজির হওয়া সাধারণ কর্মীরা বলেন আমরা জীবনে এই রকম একজন প্রার্থীকে দেখলাম জিনিস ভোটের পরে বাড়িতে এসে খোঁজ নিচ্ছেন সবাই কেমন আছে বা কারও কোনও অসুবিধে আছে কিনা যা মনে হয় জেলার ইতিহাসে রেকর্ড এবং এই প্রথম। তাই আমাদের কাছে মনে হচ্ছে অরূপ চক্রবর্তীই একজন প্রকৃত জনদরদি, মানবিক নেতা। এ ব্যাপারে প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী বলেন এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য। শুধু ভোটের সময় মানুষের কাছে ভোট ভিক্ষা করতে যাব আর অসময়ে বা সুসময়ে তাদের পাশে থাকবো না এটা হতে পারে না। যারা আমার জন্য এতকিছু করছে তাদের সেবা করাই আমার একমাত্র লক্ষ্য। ক্ষমতায় এলে আমি বাঁকুড়া শহর ছেড়ে সিমলাপালে পাঁচ বছর ধরে থেকে সিমলাপাল ও তালডাংরা এলাকার মানুষের সেবা করব।