নিজস্ব প্রতিনিধি, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, বাংলাদেশঃ স্বজনদের গগন বিদারী কান্না আর আহাজারিতে ভরে ওঠে শীতলক্ষ্যার পাড়। জাহাজের এক ধাক্কায় অকালে ঝরে গেল ৩৫ তাজা প্রাণ। এ শোক যেন সইতে পারছে না শীতলক্ষ্যা।
নদীর তীরে থাকা অপেক্ষমাণ স্বজনদের চিৎকার আর বুক ফাটা কান্নায় ভারী হয়ে উঠে পরিবেশ। একের পর এক লাশ তুলে আনার সেই দৃশ্য দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে উঠেন প্রশাসন, এলাকার লোক ও গণমাধ্যম কর্মীরাও। লাশ সনাক্তের জন্য স্বজনরা এসময় ছুটে যান উদ্ধারকারী জাহাজের সামনে।
লঞ্চডুবিতে নিহত মাকসুদা আক্তারের লাশটি পাওয়া যায় তার মেয়ে মানসুরাকে জড়িয়ে ধরে রাখা অবস্থায়। সেই দৃশ্য দেখে ঘটনাস্থলেই কেঁদে ফেলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক। রাবিবার ভোর রাত পর্যন্ত তিনি সেখানে উদ্ধারকাজ তদারকি করছিলেন। আবেগাপ্লুত হয়ে তিনি এ সময় নিস্তব্ধ হয়ে পরেন।রবিবার সন্ধ্যার কিছু আগে এসকেএল-৩ নামের একটি কোস্টার জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে অন্তত ২০০ মিটার লঞ্চটিকে টেনে নিয়ে যায়। এরপর লঞ্চটি যাত্রীসহ ডুবে যায়। আশপাশে কোনো নৌকা না থাকায় অনেকেই রক্ষা পাননি। ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। রাবিবার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শিশু ও নারীসহ মোট ৩৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর ইউএনও নাহিদা বারিক জানান, ঘাতক জাহাজটি আটকের জন্য চেষ্টা চলছে। রোব, সোম ও মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৩৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি লাশের জন্য ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এখনো ডুবুরিদের অভিযান অব্যাহত আছে।