কোভিড-১৯ এর সময় ৪১ হাজারেরও বেশি আয়ুষ্মান ভারত – স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রের সাহায্যে সর্বজনীন ও প্রাথমিক চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ আয়ুষ্মান ভারতের প্রাথমিক স্তম্ভই হ’ল স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্র। আয়ুষ্মান ভারত কর্মসূচির মাধ্যমে ২০২২ সালের মধ্যে স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলিকে উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রূপান্তরিত করে সর্বজনীন ও সুসংবদ্ধ প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আয়ুষ্মান ভারত – স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলি বড় ভূমিকা পালন করছে। ঝাড়খন্ডে রাজ্যব্যাপী নিবিড় জনস্বাস্থ্য সমীক্ষা সপ্তাহের অঙ্গ হিসাবে এই কেন্দ্রগুলি ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুখের চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে। এর পাশাপাশি, কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থাও এই কেন্দ্রগুলিতে চালু রয়েছে। রাজস্থানে স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রের একটি দল বিকানির – যোধপুর সীমান্ত চৌকিতে আগত প্রত্যেকের কোভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার জন্য জেলা প্রশাসনকে সহায়তা করেছে। ওডিশায় স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রের দলগুলি কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষকে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি, মাস্ক বা ফেস কভার ব্যবহার, সাবান ও জল দিয়ে হাত ধোওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছে।

আরও পড়ুন -  Orange Warning: কমলা সতর্কতা জারি তীব্র তাপপ্রবাহ

এই কেন্দ্রগুলি সাধারন মানুষকে বিভিন্ন ধরণের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ায় গত পয়লা ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ মাসে বিভিন্ন রাজ্যে স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রে প্রায় ৮ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ এসেছেন। এছাড়াও, গত পাঁচ মাসে স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলিতে ১ কোটি ৪১ লক্ষেরও বেশি রোগীর উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা, ১ কোটি ১৩ লক্ষেরও বেশি রোগীর মধুমেহ চিকিৎসা সহ ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ক্ষেত্রে মুখ, স্তন ও জরায়ুর ক্যান্সারে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এমনকি, রোগীদের বিনামূল্যে উচ্চ রক্তচাপ, মধুমেহ প্রভৃতি রোগের ওষুধ সরবরাহ করা হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রে ৬ লক্ষ ৫৩ হাজার যোগচর্চা ও শরীরচর্চা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  TRP: কামব্যাক ‘জগদ্ধাত্রী’, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ কি টপার হতে পেরেছে টিআরপির বিচারে

কোভিড-১৯ মহামারীর সময় এই কেন্দ্রগুলি থেকে কোভিড-১৯ চিকিৎসার পাশাপাশি, কোভিড বহির্ভূত অত্যাবশ্যক স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। গত জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সারা দেশে ১২ হাজার ৪০০-রও বেশি স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। এর ফলে, দেশে এ ধরনের কেন্দ্রের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪১ হাজার ৭৯০।

আরও পড়ুন -  মানসিক ক্ষতির সম্পর্ক নেই ফেসবুক ছড়িয়ে পড়ার সাথেঃ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

স্বাস্থ্য ও রোগী কল্যাণ কেন্দ্রগুলি প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থাকে মানুষের আরও নাগালে নিয়ে এসেছে। এর ফলে, মহামারীর সময় কোভিড সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য পরিষেবাও মানুষের কাছে সহজে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সূত্র – পিআইবি।