খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, কলকাতাঃ জলের ঘাটতি এবং জলের দূষণ- এ দুটিই হল বড় সমস্যা। এর বিরুদ্ধে দুর্গাপুরে সিএসআরআই-সিএমইআরআই দীর্ঘদিন ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এবং এই সমস্যার সমাধানে কাজ করে চলেছে। মানবজাতির কল্যাণে উদ্ভাবনী প্রযুক্তিও তৈরি করছে এই সংস্থা। এই প্রযুক্তিগুলি স্থানীয় শিল্পসংস্থাগুলিকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে। জল দূষণের সমস্যা নির্মূলের অঙ্গ হিসেবে সিএসআরআই-সিএমইআরআই প্রতি ঘন্টায় ১০ হাজার প্রতি লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন ডি-ক্লোরিডেশন প্ল্যান্ট এবং প্রতি ঘন্টায় ৫ হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন উচ্চ ফ্লোরেড আর্সেনিক নিরসন প্ল্যান্ট সম্পর্কিত প্রযুক্তি আজ মহারাষ্ট্রের পুণেতে অবস্থিত ইউনিকেয়ার টেকনোলজিস প্লাইভেট লিমিটেডকে হস্তান্তর করলো। এই হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর সিএসআরআই-সিএমইআরআই-এর অধিকর্তা অধ্যাপক হরিশ হিরানী এবং সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকরা।
অনুষ্ঠানে ভাষণ প্রসঙ্গে সিএসআরআই-সিএমইআরআই-এর অধিকর্তা অধ্যাপক হিরানী জানান পরিবেশ দূষণের সমস্যার মধ্যে অন্যতম একটি হল জল দূষণ। এই জল দূষণের সমস্যা নিরসনে উদ্ভাবনমূলক সমাধান তৈরি করেছে সিএসআরআই-সিএমইআরআই। পাশাপাশি, এই সংস্থা পানীয়, কৃষিকাজের জন্য জলের সুস্থায়ী নিশ্চয়তা প্রদানের লক্ষ্যে নিরন্তর সাশ্রয়কারী প্রযুক্তি উদ্ভাবনে নিযুক্ত রয়েছে।
শ্রী হিরানীর অভিমত, এই প্রযুক্তিগুলিকে আরও শিল্পোন্নত করতে হবে। এগুলিকে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের হাতে তুলে দিতে যাতে তরুণদের সক্ষমতা আরও বাড়ানো যায় এবং একইসঙ্গে স্থানীয় সংস্থাকে যুক্ত করা যায় সে ব্যাপারে এই প্রতিষ্ঠান অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। এরফলে দেশের আর্থিক বিকাশ-ও সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে সিএসআরআই-সিএমইআরআই-এর জল প্রযুক্তি থেকে সারা দেশের ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ উপকৃত হয়েছেন।
সিএসআরআই-সিএমইআরআই সারা দেশে ৬২-রও বেশি অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ সংস্থাকে জল প্রযুক্তি হস্তান্তর করেছে। সিএসআরআই-সিএমইআরআই জল পরিশোধন প্রযুক্তি এবং জলের গুণগত মানের উন্নতি সাধনের কাজ ক্রমান্বয়ে করে চলেছে। গত একমাসের ব্যবধানে সিকম দক্ষতা বিশ্ববিদ্যালয়, শান্তিনিকেতন, দুর্গাপুর মহিলা কলেজ, দুর্গাপুর সরকারি কলেজ, এনআইটি-দুর্গাপুর, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, সিউড়ি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়, আসানসোলের বিবি কলেজ প্রভৃতি শিক্ষামূলক প্রতিস্থান থেকে প্রায় ৮০ জন ছাত্রছাত্রী এই জল প্রযুক্তির বিষয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। অধ্যাপক ডঃ হিরানী বলেন, জল যেমন পরিবেশ দূষণ কমাতে এবং একইসঙ্গে পরিবেশের উন্নয়ন ঘটাতে যুব সমাজকে উদ্বুদ্ধ করে তেমনই জলের মতো অত্যন্ত মূল্যবান সম্পদের দায়বদ্ধ ব্যবহারে সংবেদনশীল হওয়ার ব্যাপারেও তাদেরকে সচেতন করে তোলে। পাশাপাশি, সিএসআরআই-সিএমইআরআই সাধারণ মানুষের নানান সমস্যার সমাধানে প্রযুক্তিগত পরিকাঠামো তৈরি করে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করে বলেও অধ্যাপক শ্রী হিরানী জানান। সূত্র – পিআইবি।