পণ্যের গুণমান

Published By: Khabar India Online | Published On:

খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ  আত্মনির্ভর ভারত অভিযানে যেসব পণ্য উৎপাদন করা হচ্ছে কেন্দ্র তার গুণমান বৃদ্ধি করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সরকার বিভিন্ন ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মকে দেশীয় পণ্য বিক্রির কাজে লাগিয়েছে। এর ফলে এই ধরণের প্ল্যাটফর্মে ছোট ব্যবসায়িদের উৎপাদিত পণ্য বিপুল সংখ্যক ক্রেতারা দেখতে পান। ফলে এগুলি সহজেই প্রচুর পরিমাণে বিক্রি হতে পারে।

পণ্যের গুণমান বৃদ্ধিতে সরকার যে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে :

১) গুণমান বজায় রাখা- উপভোক্তারা যাতে ভালো মানের পণ্য পান সেটি নিশ্চিত করতে কেন্দ্রের বিভিন্ন মন্ত্রক ও দপ্তর সক্রিয় রয়েছে। ভারতীয় মানক ব্যুরোর ২০১৬ সালের আইনের ১৬ নম্বর ধারা অনুসারে এইসমস্ত মন্ত্রক ও দপ্তর সংশ্লিষ্ট পণ্যের মান নির্ধারণ করে।

২) নির্দিষ্ট চিহ্ন (আইএসআই মার্ক)- যে সমস্ত পণ্য সামগ্রী ভারতীয় মান বজায় রাখে তাদেরকে বিআইএস গুণমান সংক্রান্ত লাইসেন্স দিয়ে থাকে।

৩) উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্প- উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কেন্দ্র ১৩টি ক্ষেত্রে আগামী ৫ বছর উৎপাদন ভিত্তিক উৎসাহ প্রকল্প চালু করেছে। এরজন্য ১ লক্ষ ৯৭ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  Serena Williams: সেরেনা উইলিয়ামস, টেনিস থেকে অবসর নিলেন

৪) সরকারি সংস্থাগুলির সংগ্রহ করার আদেশনামা- দেশীয় উৎপাদকদের থেকে পণ্য সংগ্রহের জন্য সরকারি স্তরে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ২০২০র ২৯ সেপ্টেম্বর প্রয়োজনীয় নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

৫) উপ-ক্ষেত্র চিহ্নিতকরণ- মেক ইন ইন্ডিয়ার দ্বিতীয় পর্বে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলির পণ্যের প্রতিযোগিতা এবং রপ্তানী বাড়াতে ২৪টি উপক্ষেত্রকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

৬) বিশেষ ক্ষমতাশালী সচিব গোষ্ঠী এবং প্রকল্প উন্নয়ন সেল- সরকার বিশেষ ক্ষমতাশালী সচিব গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন দপ্তরের প্রকল্প উন্নয়ন সেল গঠন করেছে। এরফলে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারগুলির মধ্যে বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্যের আদান-প্রদানে সমন্বয় গড়ে উঠবে।

৭) উদ্যোগ মন্থন- সমস্ত বড় বড় উৎপাদন ক্ষেত্র এবং পরিষেবা ক্ষেত্রগুলিকে আত্মনির্ভর ভারত অভিযান সফল করার জন্য পণ্যের উৎপাদন ও গুণমান বাড়াতে উদ্যোগ মন্থনের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়ে থাকে।

৮) শক্তিশালী আইপিআর ব্যবস্থা- পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন, আইপি দপ্তরে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কাজ করা, মানব সম্পদ বৃদ্ধি, অতিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগ এবং নতুন উদ্যোগের জন্য আইপি সংক্রান্ত সুরক্ষা।

আরও পড়ুন -  Facebook Group: ফেসবুক গ্রুপ থেকে অর্থ আয়

৯) অতিক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগের নতুন সংজ্ঞা- অতিক্ষুদ্র উৎপাদন এবং পরিষেবা সংস্থাগুলির বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ১ কোটি টাকা নির্ধারিত হয়েছে। এইসব সংস্থার উৎপাদিত পণ্য বিক্রির পরিমাণ হবে ৫ কোটি টাকা। ক্ষুদ্র শিল্পোদ্যোগী সংস্থাগুলির জন্য বিনিয়োগের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ১০ কোটি টাকা এবং উৎপাদিত পণ্য সামগ্রী বিক্রির পরিমাণ ৫০ কোটি টাকা নির্ধারিত হয়েছে। মাঝারি শিল্পোদ্যোগী সংস্থাগুলির জন্য বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ কোটি টাকা এবং বিক্রির সর্বোচ্চ পরিমাণ ১০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।

ভোকাল ফর লোকালকে উৎসাহ দিতে নতুন উদ্যোগগুলির জন্য সরকারের কিছু পদক্ষেপ-

১) সংস্থাগুলি নিজেরাই স্ব-শংসায়নের কাজ করবে
২) নতুন উদ্যোগের জন্য বিশেষ হাব
৩) নতুন উদ্যোগের জন্য পোর্টাল ও মোবাইল অ্যাপ
৪) আইনী সহায়তা এবং পেটেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য যাচাইয়ের জন্য কম খরচে দ্রুত ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ
৫) নতুন উদ্যোগগুলির থেকে সরকারি সংস্থাগুলির পণ্য সংগ্রহ
৬) নতুন উদ্যোগ সংস্থাগুলির জন্য দ্রুত নিষ্ক্রমণের ব্যবস্থা করা
৭) তহবিলের তহবিল থেকে অর্থ সাহায্য
৮) নতুন উদ্যোগ গুলির জন্য মূলধনের নিশ্চয়তা
৯) মূলধন লাভে কর ছাড়
১০) নতুন উদ্যোগের জন্য ৩ বছর কর ছাড়
১১) ন্যায্য বাজার মূল্যের থেকে বেশি মূল্যে বিনিয়োগ করলে কর ছাড়ের ব্যবস্থা
১২) নতুন উদ্যোগের জন্য বিশেষ উৎসবের আয়োজন করা যেখানে উদ্ভাবন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যের আদান-প্রদান করা যায়
১৩) অটল ইনোভেশন মিশনের আওতায় স্বনির্ভর ও মেধার কার্যকর প্রয়োগের জন্য বিশেষ কর্মসূচি
১৪) নতুন উদ্যোগী সংস্থাগুলি যে রাজ্যে অবস্থিত সেখানকার পরিকাঠামো উন্নয়ন
১৫) বিপুল চ্যালেঞ্জ
১৬) মহিলা শিল্পোদ্যোগীদের উৎসাহিত করা
১৭) জাতীয় নতুন উদ্যোগ পুরস্কার
১৮) প্রারম্ভ
১৯) বীজ তহবিল
২০) নতুন উদ্যোগের জন্য বিনিয়োগ সংক্রান্ত সহায়তা

আরও পড়ুন -  Gavin Williamson Resigns: গ্যাভিন উইলিয়ামসনের পদত্যাগ, ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী

লোকসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী শ্রী সোম পরকাশ এই তথ্য জানিয়েছেন। সূত্র – পিআইবি।