অরূপ চক্রবর্তী সমর্থনে সিমলাপাল মদন মোহন হাই স্কুল ফুটবল ময়দানে জনসভা করলেন পড়শী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন

Published By: Khabar India Online | Published On:

সৌমী মণ্ডল, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, সিমলাপালঃ    আগামী পয়লা এপ্রিল বাঁকুড়া জেলার দ্বিতীয় দফার নির্বাচন এই দ্বিতীয় দফায় তালডাংরা বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী তথা বাঁকুড়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী সমর্থনে সিমলাপাল মদন মোহন হাই স্কুল ফুটবল ময়দানে জনসভা করলেন পড়শী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন। তিনি তার ভাষণে প্রথমেই বলেন, আমি কোন বহিরাগত নই আমাদের রাজ্য আলাদা হলেও আমরা একই মায়ের সন্তান। পাশাপাশি বড় হচ্ছি আমাদের ও পশ্চিম বাংলার সংস্কৃতি অনেকটা একই রকম। তাছাড়া এই বাংলায় আমার মামাবাড়ি তাই মাতৃ ঋণ শোধ করা আমার কর্তব্য, ভালোবাসার টানে আমি এসেছি মা মাটি মানুষের সরকাররের প্রার্থীকে ভোটে জেতার অনুরোধ নিয়ে। দেশের প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তৃণমূল সুপ্রিমো বারবার বহিরাগত বলে উল্লেখ করছেন, সে কথা মাথায় রেখে বলেন, আমাদের সীমানা আলাদা হলেও চাওয়া-পাওয়া এক। দুই রাজ্যের মধ্যে আত্মার সম্পর্ক।

আরও পড়ুন -  শ্রমিক সভা

একারণেই দিদিকে সমর্থন করতে সিমলাপালে দিদির আশীর্বাদ ধন্য কার্তিক প্রার্থী তথা বিশিষ্ট সমাজসেবী জঙ্গলমহলের উন্নয়নের পথিকৃৎ অরূপ চক্রবর্তী কে ভোটে জয়ী করার আবেদন জানাতে এসেছি। হেলিকপ্টারে করে বুধবার বিকেলে ৩ টা নাগাদ ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন সিমলাপালে আসেন। বিশ্রাম নিয়ে সভা শুরু হয় বিকেল সাড়ে চারটায়। হেমন্ত সরেন প্রায় কুড়ি মিনিট বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, দিদি দু’দফা ক্ষমতায় আছেন যা পুঁজিপতি ও ধান্দাবাজদের চক্ষুশূল হওয়ায় তার পিছনে লেগেছে। বিজেপি এরাজ্যে লোকসভায় কিছু আসন পেয়ে ভেবে নিয়েছে রাজ্যটা তাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। তিনি বলেন, ঝাড়খন্ডে লোকসভায় ১৪ টা আসনের ১৩ টা বিজেপি পেয়েছিল। কিন্তু বিধানসভায় ঝাড়খণ্ডের ডবল ইঞ্জিনের একটা ইঞ্জিন কে বিদায় দেওয়া হয়েছে। আপনারা বিজেপিকে ভোট দিলে ওরা একে একে দেশের সম্পদ বিক্রি করে দিবে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ এখানে জোড়া ফুল চিহ্নে একবার বোতাম টিপুন যা দিল্লির হেডকোয়ার্টার কে কাঁপিয়ে দিবে। তিনি সাঁওতালি ভাষাতেও বেশ কয়েক মিনিট বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত আদিবাসী ভাই-বোনদের মন জয় করে নেয়। আজকের জনসভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।

আরও পড়ুন -  শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিল