নতুন মোবাইল সেট না দেওয়াতে আত্মহত্যা করল স্ত্রী

Published By: Khabar India Online | Published On:

সুমিত ঘোষ, খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, মালদাঃ
নতুন এন্ড্রয়েড মোবাইল সেট কেনা কে নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা আর তার জেরেই স্বামীর প্রতি অভিমান করে স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হবিবপুর থানার আইহো রতিরাম পাড়া এলাকায়। নিজের শোবার ঘরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে গৃহবধূ।মৃতদেহটি ঘর থেকে উদ্ধার করে হবিবপুর থানার পুলিশ শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। মৃত গৃহবধূর নাম কাকলি মণ্ডল বয়স ২৩ বছর। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায় গত ৭ মাস আগে গৃহবধূর হবিবপুরের চাঁদপাড়া এলাকার নিরাময় মন্ডলের সাথে বিবাহ হয়। নিরাময় মন্ডল পেশায় শ্রমিকের কাজের সাথে যুক্ত। সমজিক মুক্তি তাদের বিয়ে হয়। বর্তমান যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে গৃহবধুর তার স্বামীর কাছে একটি এন্ড্রয়েড দামি মোবাইল ফোন চেয়ে বসে। তেমন রোজগার না থাকায় স্বামী নিরাময় মন্ডল নতুন মোবাইল ফোন কিনে দিতে অস্বীকার করে গৃহবধূকে। যার ফলে স্বামীর প্রতি রাগ করে চারদিন আগে বাবার বাড়িতে চলে আসে গৃহবধূ। তার বাবার বাড়ি হবিবপুর থানার আইহ রতিরামপাড়া এলাকায়। মৃত গৃহবধূর বাবা নীলকান্ত চক্রবর্তী জানান চার দিন আগে শ্বশুর বাড়ি থেকে আমার বাড়িতে আসে। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী এক ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে তারা বাড়ির সকলে চলে আসে। তখন তার মেয়ে কাকলি মণ্ডল বাড়িতে একাই ছিল। নিমন্ত্রণ বাড়ি থেকে নিমন্ত্রণ খেয়ে রাতে বাড়িতে আসলে শোয়ার ঘরে মেয়ের ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ মৃতদেহ শোওয়ার ঘর থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে শনিবার দুপুরে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। মৃত গৃহবধূর বাবা নীলকান্ত চক্রবর্তী পেশায় একজন গাড়িচালক। তার ২ মেয়ে ১ ছেলে, এটি ছোট মেয়ে ছিল। সাত মাস আগেই তার বিয়ে দাও বিয়ে সামাজিক মতই বিবাহ হয়। তবে মৃত গৃহবধূর বাবা স্বীকার করেছে যে তার মেয়ের প্রচন্ড জেদ ছিল। আত্মহত্যার পিছনে মোবাইল ফোন কেনার বিষয়টি তার বাবার মুখ থেকে উঠে আসে। ফোন কেনার জন্য জামাইকে চাপ সৃষ্টি করেছিল। তারা বিষয়টি জানতে মেয়েকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল।এদিকে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাতে নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাবার সময় তার মেয়েকে বলা হয়েছিল কিন্তু তার মেয়ে সেখানে যাবে না বলে জানায়। তারপরই রাতে বাড়িতে ফিরে এসে মেয়ের এই কান্ড কারখানা দেখে অবাক হয়ে যান পরিবারের লোকেরা। শনিবার দুপুরে হবিবপুর থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মৃত দেহকে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

আরও পড়ুন -  বিকাশ ভবনের সামনে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা ৫ শিক্ষিকার, ঘটনা ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য