খবরইন্ডিয়াঅনলাইন, নয়াদিল্লিঃ করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আজ সকাল ৭টা পর্যন্ত সারা দেশে ১ কোটি ৮০ লক্ষ ৫ হাজার ৩টি কোভিড-১৯ টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
এরমধ্যে ৬৮ লক্ষ ৫৩ হাজার ৮৩ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ এবং ৩১ লক্ষ ৪১ হাজার ৩৭১ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ৬০ লক্ষ ৯০ হাজার ৯৩১ জন প্রথম সারির কর্মীকে প্রথম ডোজ এবং ৬৭ হাজার ২৯৭ জন প্রথম সারির কর্মীকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। এমনকি ৪৫ বছরের বেশী বয়সী ব্যক্তি যাদের সুনির্দিষ্টি কো-মর্বিডিটি বা অন্যান্য রোগের উপসর্গ রয়েছে এই ধরণের ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ৯০১ জন সুবিধাভোগী এবং ৬০ বছরের বেশী বয়সী ১৬ লক্ষ ১৬ হাজার ৯২০ জন সুবিধাভোগীকে করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।
করোনা টিকাকরণের ৪৮তম দিনে গতকাল পর্যন্ত ১৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৭০ জনকে টিকা দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে ১৬ হাজার ৮১টি করোনা টিকাকরণের প্রথম পর্ব আয়োজিত হয়ছে ।যেখানে প্রথম সারির কর্মী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ১০ লক্ষ ৫৬ হাজার ৮০৮ জন সুবিধাভোগী টিকা গ্রহণ করেন। করোনা টিকাকরণের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেন ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৬২ জন স্বাস্থ্য ও প্রথম সারির কর্মী।
অন্যদিকে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ এবং দিল্লী- এই ৬টি রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা ক্রমশই বেড়েছে। এই ৬টি রাজ্যে ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৮৩৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
দৈনিক সংক্রমণের ক্ষেত্রে এখনও অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের সংখ্যা বেশি। সেখানে গতকাল ৮ হাজার ৯৯৮ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন। কেরালায় একদিনে ২ হাজার ৬১৬ জন এবং পাঞ্জাবে ১ হাজার ৭১ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
৮টি রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ ক্রমশই বাড়ছে।
দেশে সক্রিয় রোগীর হার ১.৭৬ শতাংশ। বর্তমানে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩১৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সক্রিয় রোগীর হারের রেখাচিত্রে ক্রমশই পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। কেরালা, তামিলনাড়ু, পশ্চিমবঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগীর হার কিছুটা কমেছে।
অন্যদিকে মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা, দিল্লী এবং গুজরাটে গত ২৪ ঘণ্টায় সক্রিয় রোগীর হার বেড়েছে।
গত একমাসে কেরালা, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড় এবং তামিলনাড়ুতে সক্রিয় রোগীর হার ক্রমশই কমেছে। এই একই সময় মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা এবং দিল্লীতে ক্রমশই বেড়েছে সংক্রমণের হার।
২০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে রয়েছে।
অরুণাচলপ্রদেশে মাত্র ২ জন করোনা সক্রিয় রোগীর সন্ধান মিলেছে। ৮টি রাজ্যে গত এক সপ্তাহে সক্রিয় রোগীর হার জাতীয় গড়ের তুলনায় বেশি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ১১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৬টি রাজ্যে মৃত্যুর হার ৮৮.৫ শতাংশ। গত একদিনে মহারাষ্ট্রে ৬০, পাঞ্জাবে ১৫ এবং কেরালায় ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
১৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে কারোর মৃত্যু হয়নি। এই রাজ্যগুলি হল- আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, অরুণাচলপ্রদেশ, আসাম, চন্ডীগড়, দমন ও দিউ, দাদরা নগর হাভেলী, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচলপ্রদেশ, লাদাখ, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ওড়িশা, পুদুচেরী, সিকিম, ত্রিপুরা এবং উত্তরাখন্ড। সূত্র – পিআইবি।