৫২ বছর পর টেনিস কোর্টে ফিরল ‘ব্যাটল অব দ্য সেক্সেস’, সাবালেঙ্কা-কিরিওস ম্যাচে নতুন বিতর্ক

Published By: Khabar India Online | Published On:

এক ঝলমলে মঞ্চ, আলো-আঁধারির কোর্ট আর ইতিহাসের স্মৃতি—সব মিলিয়ে টেনিসপ্রেমীদের সামনে আবারও ফিরে এল ‘ব্যাটল অব দ্য সেক্সেস’। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রদর্শনী ম্যাচে মুখোমুখি হন নারী টেনিসের নাম্বার ওয়ান তারকা আরিনা সাবালেঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড় নিক কিরিওস। নামের ভারেই ম্যাচটি তৈরি করেছিল আলাদা উত্তেজনা।

রবিবারের এই প্রদর্শনী ম্যাচে প্রত্যাশিতভাবেই অভিজ্ঞতার জোরে জয় পান কিরিওস। তিনি সাবালেঙ্কাকে হারান ৬-৩, ৬-৩ সেটে। যদিও স্কোরলাইনের বাইরে ম্যাচটি ঘিরে আলোচনা ছিল অনেক বেশি। প্রশ্ন উঠেছে—এটি কি ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি, নাকি শুধুই বিনোদনের অংশ?

টেনিসে ‘ব্যাটল অব দ্য সেক্সেস’ মানে কেবল লিঙ্গের লড়াই নয়। বরং নারী-পুরুষ সমতার বার্তা পৌঁছে দিতে এমন প্রদর্শনী ম্যাচ আয়োজন করা হয়। ইতিহাস বলছে, ১৮৮৮ সালেই প্রথম পুরুষ ও নারী খেলোয়াড়ের মধ্যে এমন ম্যাচ হয়েছিল। তবে সবচেয়ে আলোচিত অধ্যায় আসে ১৯৭৩ সালে, যখন নারী টেনিসের তারকা বিলি জিন কিং হারিয়েছিলেন ববি রিগসকে।

সেই ঐতিহাসিক ঘটনার ৫২ বছর পর সাবালেঙ্কা-কিরিওস ম্যাচ নতুন করে আলোচনা উসকে দেয়। সাবালেঙ্কার জন্য এটি ছিল নিজের প্রোফাইল আরও উজ্জ্বল করার সুযোগ। অন্যদিকে কিরিওস এই ম্যাচকে দেখছেন এটিপি ট্যুরে ফেরার আগে নিজেকে আলোচনায় রাখার মঞ্চ হিসেবে।

তবে সমালোচনাও কম হয়নি। অনেকের মতে, আজকের দিনে নারী ও পুরুষ টেনিসের তুলনা অপ্রয়োজনীয়। কারণ আধুনিক টেনিসে লিঙ্গসমতা আগের চেয়ে অনেকটাই প্রতিষ্ঠিত। তবুও এই ম্যাচ টেনিস বিশ্বে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে—এটাই হয়তো এর সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

প্রশ্ন ও উত্তর

১) ব্যাটল অব দ্য সেক্সেস কী?
এটি নারী ও পুরুষ খেলোয়াড়ের মধ্যে আয়োজিত একটি প্রদর্শনী টেনিস ম্যাচ, যার লক্ষ্য সমতার বার্তা দেওয়া।

২) সাবালেঙ্কা-কিরিওস ম্যাচ কোথায় হয়েছিল?
ম্যাচটি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়।

৩) ম্যাচে কে জয়ী হয়েছেন?
নিক কিরিওস ৬-৩, ৬-৩ সেটে ম্যাচটি জেতেন।

৪) এই ম্যাচের সঙ্গে ১৯৭৩ সালের ঘটনার তুলনা কেন?
কারণ ১৯৭৩ সালে বিলি জিন কিং ও ববি রিগসের ম্যাচ ছিল লিঙ্গসমতার প্রতীকী লড়াই।

৫) এই ম্যাচ থেকে টেনিস বিশ্ব কী পেল?
নতুন আলোচনা, সমালোচনা এবং টেনিসের প্রতি বাড়তি আগ্রহ।