ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল রাস্তা, আর সেই অদৃশ্যতার মধ্যেই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। আলিপুরদুয়ারের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে ভয়াবহ পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিনজনের।
ঘটনাটি ঘটে গরম বসতি এলাকায়। একটি ছোট গাড়ি শিলিগুড়ির দিকে যাচ্ছিল। বিপরীত দিক থেকে আসছিল একটি ১২ চাকার ট্রেলার। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওভারটেক করার সময় আচমকাই দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ধাক্কায় ছোট গাড়িটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ট্রেলারটি রাস্তার পাশের নয়ানজুলিতে উল্টে পড়ে।
এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়ির চালক মনোজিৎ বিশ্বাসের। তিনি কুমারগ্রামের সঙ্কোশ চা বাগান এলাকার বাসিন্দা। তাঁর সঙ্গে থাকা সৌভিক বিশ্বাস ও রাজু মণ্ডলও প্রাণ হারান। সৌভিক মনোজিতের খুড়তুতো ভাই এবং রাজু পেশায় একজন গাড়ির মেক্যানিক ছিলেন।
স্থানীয়দের দাবি, উত্তরবঙ্গে গত কয়েক দিন ধরে ঘন কুয়াশার দাপট রয়েছে। দৃশ্যমানতা অত্যন্ত কম থাকায় চালকদের পক্ষে রাস্তা বোঝা কঠিন হয়ে পড়ছে। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ প্রশাসনের তরফে ইতিমধ্যেই গাড়িচালকদের সতর্ক করা হয়েছে। বিশেষ করে রাত ও ভোরের দিকে ধীরে গাড়ি চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শীতের মরশুমে চালকদের জন্য গরম দুধ, চা ও বিস্কুট দেওয়ার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: দুর্ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে?
উত্তর: আলিপুরদুয়ারের ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের গরম বসতি এলাকায়।
প্রশ্ন ২: কী কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে?
উত্তর: ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমানতা কম থাকায় দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রশ্ন ৩: এই দুর্ঘটনায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে?
উত্তর: মোট তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
প্রশ্ন ৪: মৃতরা কারা ছিলেন?
উত্তর: মনোজিৎ বিশ্বাস, সৌভিক বিশ্বাস ও রাজু মণ্ডল।
প্রশ্ন ৫: পুলিশ কী সতর্কতা জারি করেছে?
উত্তর: কুয়াশার সময় ধীরে গাড়ি চালানো এবং বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

