রাতের অন্ধকারে আচমকা ঘটে গেল এমন এক ঘটনা, যা কাঁপিয়ে দিল গোটা এলাকা। নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার অন্তর্গত গোপীনাথপুর পঞ্চায়েত এলাকায় পারিবারিক বিবাদের জেরে বৌমাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে কাকাশ্বশুরের বিরুদ্ধে। ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতার নাম শম্পা বিশ্বাস (২৭)। কয়েক বছর আগে উত্তম বিশ্বাসের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। দীর্ঘদিন ধরেই উত্তমের পরিবারের সঙ্গে কাকাশ্বশুর সুফল বিশ্বাসের পরিবারের বিবাদ চলছিল। শুক্রবার সেই অশান্তি চরমে ওঠে।
অভিযোগ, দুই পরিবারের ঝগড়ার মাঝেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে বৌমার দিকে তেড়ে যান কাকাশ্বশুর। আচমকা শম্পার গলায় কোপ বসান তিনি। চিৎকার-চেঁচামেঁচিতে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় শম্পাকে উদ্ধার করেন। দ্রুত তাঁকে পলাশিপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত পলাতক ছিল। রাতভর তল্লাশির পর শনিবার বাড়ির কাছেই একটি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ধৃতকে আদালতে পেশ করা হচ্ছে।
শম্পার স্বামী উত্তম বিশ্বাস কাকাশ্বশুরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁর পরিবারের বক্তব্য, দীর্ঘদিনের অশান্তিই এই মর্মান্তিক ঘটনার কারণ।
প্রশ্ন ও উত্তর
১. ঘটনাটি কোথায় ঘটেছে?
নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার গোপীনাথপুর পঞ্চায়েত এলাকায়।
২. মৃতার নাম ও বয়স কত?
মৃতার নাম শম্পা বিশ্বাস, বয়স ২৭ বছর।
৩. অভিযুক্ত কে?
মৃতার কাকাশ্বশুর সুফল বিশ্বাসের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ।
৪. কী কারণে এই ঘটনা ঘটে?
দীর্ঘদিনের পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই নৃশংস ঘটনা বলে অভিযোগ।
৫. পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে?
অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।

