ভবিষ্যৎ যতই আধুনিক হোক, ততই যেন অস্বস্তিকর হয়ে উঠছে—২০২৬ সালকে ঘিরে এমনই আশঙ্কার কথা শোনা যাচ্ছে প্রযুক্তি দুনিয়ায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআইয়ের দ্রুত অগ্রগতি একদিকে যেমন জীবন সহজ করার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে তৈরি করছে ভয়, অনিশ্চয়তা আর বিতর্ক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৬ সালে এআই খাতে বড় ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। প্রতিযোগিতা বাড়ায় বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলো খরচ কমাতে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এতে কর্মীদের মধ্যে চাকরি হারানোর anxiety আরও বাড়বে।
একই সঙ্গে ডেটা সেন্টার নির্মাণ ঘিরে গুজব ও প্রতিবাদও বাড়তে পারে। এআই দিয়ে ভুয়া ছবি ও ভিডিও বানানো সহজ হওয়ায় ভুল তথ্য ছড়ানোর গতি আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এতে সামাজিক অস্থিরতাও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
২০২৬ সালে প্রযুক্তি মেলাগুলোতে এআইচালিত রোবট থাকবে আলোচনার কেন্দ্রে। ঘরের কাজ থেকে শুরু করে জটিল বাস্তব সমস্যার সমাধানে রোবটের ব্যবহার বাড়বে। তবে এর সঙ্গে মানুষের কাজ হারানোর ভয়ও জুড়ে যাচ্ছে।
কর্মক্ষেত্রে নজরদারি আরও গভীর হতে পারে। কর্মীদের ক্লিক, টাইপিং বা স্ক্রল ট্র্যাক করে এআই প্রশিক্ষণের বিষয়টি নৈতিক প্রশ্ন তুলছে। একইভাবে সব সময় শোনা ডিভাইস ও এআই টুল ব্যক্তিগত গোপনীয়তা নিয়ে নতুন ঝুঁকি তৈরি করছে।
রোবট্যাক্সির বিস্তারও ২০২৬ সালে বাড়বে। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, ভয়াবহ দুর্ঘটনার চেয়ে মানুষের ভুলেই দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেশি থাকবে। তবুও এআই নির্ভর যানবাহন নিয়ে বিতর্ক থামছে না।
সব মিলিয়ে ২০২৬ সাল এআইয়ের জন্য যেমন সম্ভাবনার, তেমনই বড় সিদ্ধান্ত আর চ্যালেঞ্জের বছর হতে চলেছে।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: ২০২৬ সালে এআই খাতে কি বড় ছাঁটাই হতে পারে?
উত্তর: বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিযোগিতা ও খরচ কমানোর কারণে ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রশ্ন ২: ডেটা সেন্টার নিয়ে কেন উদ্বেগ বাড়ছে?
উত্তর: পরিবেশ, বিদ্যুৎ ব্যবহার ও ভুয়া তথ্য ছড়ানোর আশঙ্কা থেকেই এই উদ্বেগ।
প্রশ্ন ৩: ২০২৬ সালে রোবটের ব্যবহার কতটা বাড়বে?
উত্তর: ঘরোয়া কাজ ও শিল্পক্ষেত্রে এআইচালিত রোবটের ব্যবহার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে।
প্রশ্ন ৪: কর্মক্ষেত্রে এআই নজরদারি কেন বিতর্কিত?
উত্তর: এটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
প্রশ্ন ৫: রোবট্যাক্সি কি মানুষের জন্য বিপজ্জনক?
উত্তর: তথ্য অনুযায়ী, মানুষের ভুলেই এখনো বেশি দুর্ঘটনা ঘটে।

