কারাগারের ভেতরে কী ঘটছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই নতুন করে আলোচনায় এলেন ইমরান খান। পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার।
সোমবার একটি টেলিভিশন টকশোতে সংসদ বিষয়কমন্ত্রী তারিক ফজল চৌধুরী জানান, ইমরানের সঙ্গে সাক্ষাৎ আপাতত বন্ধই থাকবে। তার বক্তব্য, কারাগার কোনো রাজনৈতিক দলের সদর দপ্তর নয় এবং এখান থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না।
আদালতের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন সাক্ষাৎ বন্ধ থাকায় ইমরান খানের পরিবার ও তার দল পিটিআই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তাদের দাবি, কারাগারের ভেতরে তাকে যেসব অবস্থায় রাখা হয়েছে, তা নিয়ে গুরুতর মানবাধিকার প্রশ্ন উঠছে।
এমন পরিস্থিতিতে জাতিসংঘের একজন বিশেষ প্রতিবেদকও সতর্ক করে বলেছেন, ইমরান খানকে যেভাবে আটক রাখা হয়েছে, তা অমানবিক বা মর্যাদাহানিকর আচরণের শামিল হতে পারে।
সরকারি পক্ষ অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রধানমন্ত্রী의 রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা রানা সানাউল্লাহ জানান, কারাগারের সাক্ষাৎ ব্যবহার করে রাজধানীতে বড় আন্দোলনের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল বলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ইমরান খান কারাবন্দি রয়েছেন। দুর্নীতির মামলায় দণ্ড ভোগের পাশাপাশি ৯ মে সহিংসতা সংক্রান্ত একাধিক মামলাও তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন ১: ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ কেন বন্ধ করা হয়েছে?
উত্তর: সরকার দাবি করেছে, সাক্ষাৎ ব্যবহার করে রাজনৈতিক আন্দোলনের পরিকল্পনা করা হচ্ছিল।
প্রশ্ন ২: সাক্ষাৎ কবে পর্যন্ত স্থগিত থাকবে?
উত্তর: ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাক্ষাৎ স্থগিত থাকবে।
প্রশ্ন ৩: পরিবার ও পিটিআই কী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে?
উত্তর: তারা কারাগারের ভেতরে ইমরানের অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
প্রশ্ন ৪: আন্তর্জাতিক মহল কি এ বিষয়ে মন্তব্য করেছে?
উত্তর: জাতিসংঘের এক বিশেষ প্রতিবেদক আটক পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করেছেন।
প্রশ্ন ৫: ইমরান খান কবে থেকে কারাবন্দি?
উত্তর: তিনি ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাবন্দি রয়েছেন।

