রাজনীতির ময়দানে আবারও বড় চমক! নিজের নতুন দল ঘোষণা করেই একেবারে ভিন্ন কৌশলে এগোলেন ভরতপুরের সাসপেন্ডেড বিধায়ক Humayun Kabir। সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল তাঁর নতুন রাজনৈতিক দল ‘জনতা উন্নয়ন পার্টি’।
দল ঘোষণার সঙ্গেই ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য একাধিক কেন্দ্রের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেন হুমায়ুন কবীর। সবচেয়ে বড় চমক, সেই তালিকায় রয়েছে একাধিক ‘হুমায়ুন কবীর’ নামের প্রার্থী। অর্থাৎ আগামী নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্রে শাসক ও বিরোধী প্রার্থীদের লড়াই করতে হবে একই নামে একাধিক প্রার্থীর সঙ্গে।
হুমায়ুন কবীর নিজে রেজিনগর ও বেলডাঙা—এই দুই কেন্দ্র থেকে লড়াই করবেন বলে ঘোষণা করেছেন। তাঁর দাবি, দুই আসনেই জয়ের ব্যাপারে তিনি আত্মবিশ্বাসী। পাশাপাশি রানিনগর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হচ্ছেন আরও এক হুমায়ুন কবীর, যিনি পেশায় চিকিৎসক। উল্লেখযোগ্যভাবে, তিনি ২০১৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়ালেও জয় পাননি।
এছাড়াও ভগবানগোলা কেন্দ্র থেকে একজন ব্যবসায়ী হুমায়ুন কবীরকে প্রার্থী করা হয়েছে। বীরভূম থেকেও আরও এক হুমায়ুন কবীরকে প্রার্থী করা হবে বলে ইঙ্গিত দেন তিনি। নামের এই মিলকে ভোটের ময়দানে ‘স্ট্র্যাটেজিক সারপ্রাইজ’ বলেই ব্যাখ্যা করছে নতুন দল।
শুধু তাই নয়, জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রার্থী তালিকায় জায়গা পেয়েছেন হিন্দু প্রার্থীরাও। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকে মনীষা পাণ্ডে এবং বালিগঞ্জ থেকে নিশা চট্টোপাধ্যায় প্রার্থী হচ্ছেন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। দলের মূল লক্ষ্য বাংলার সার্বিক উন্নয়ন বলেই দাবি নেতৃত্বের।
দল ঘোষণার মঞ্চ থেকেই রাজনৈতিক বার্তাও দেন হুমায়ুন কবীর। একদিকে তিনি Firhad Hakim-কে কড়া হুঁশিয়ারি দেন, অন্যদিকে Abhishek Banerjee-র রাজনৈতিক দক্ষতার প্রশংসা করেন। এই বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর আলোচনা।
খুব শীঘ্রই দলের ইস্তেহার প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এখন দেখার, ২০২৬-এর ভোটে এই নতুন কৌশল কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন 1: জনতা উন্নয়ন পার্টি কে গঠন করেছেন?
উত্তর: দলটি গঠন করেছেন সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
প্রশ্ন 2: কতজন হুমায়ুন কবীর প্রার্থী হচ্ছেন?
উত্তর: বিভিন্ন কেন্দ্রে একাধিক প্রার্থী একই নাম—হুমায়ুন কবীর।
প্রশ্ন 3: হুমায়ুন কবীর কোন কোন কেন্দ্র থেকে লড়বেন?
উত্তর: তিনি রেজিনগর ও বেলডাঙা কেন্দ্র থেকে লড়বেন।
প্রশ্ন 4: দলে কি হিন্দু প্রার্থী রয়েছেন?
উত্তর: হ্যাঁ, একাধিক হিন্দু প্রার্থী দলের হয়ে লড়ছেন।
প্রশ্ন 5: দলের মূল লক্ষ্য কী?
উত্তর: বাংলার মানুষের উন্নয়ন এবং বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি তৈরি করা।

