থাই-কম্বোডিয়া উত্তেজনা থামাতে উদ্যোগী আনোয়ার ইব্রাহিম

Published By: Khabar India Online | Published On:

হঠাৎ করে নতুন করে বেড়েছে থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তের উত্তেজনা। এমন পরিস্থিতিতে শান্তি ফেরাতে সক্রিয় উদ্যোগ নিলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী Anwar Ibrahim। তিনি ফোনে কথা বলেছেন থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এবং চলমান সংঘর্ষ থামাতে সংলাপের পথে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন।

রবিবার দুই প্রতিবেশী দেশের নেতার সঙ্গে আলাদা আলাদা ফোনালাপে আনোয়ার ইব্রাহিম পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সংযম ও কূটনৈতিক আলোচনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। তাঁর মতে, আলোচনার মাধ্যমেই এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব।

এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে আসন্ন ASEAN পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের ঠিক আগেই, যা পরিস্থিতিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে, গত অক্টোবরে Kuala Lumpur-এ একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল ThailandCambodia। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট Donald Trump। তবে সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে থাই সেনা আহত হওয়ার ঘটনার পর চুক্তিটি স্থগিত হয়ে যায়।

এরপর থেকেই নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়। দীর্ঘদিনের ‘পান্না ত্রিভুজ’ বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে ১১৮ বছরের পুরোনো দ্বন্দ্ব আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে। চলমান সংঘাতে প্রাণহানি, বাস্তুচ্যুতি এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো মানবিক সংকট তৈরি হয়েছে।

বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। থাইল্যান্ডের অন্তত সাতটি প্রদেশে প্রায় এক হাজার স্কুল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। দ্রুত সংঘাতের অবসান ও শ্রেণিকক্ষে ফেরার দাবি জানাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

 প্রশ্ন ও উত্তর

প্রশ্ন ১: থাই-কম্বোডিয়া সংঘাতের মূল কারণ কী?
উত্তর: সীমান্তবর্তী ‘পান্না ত্রিভুজ’ অঞ্চলের দাবি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধই মূল কারণ।

প্রশ্ন ২: আনোয়ার ইব্রাহিম কেন ফোন করেছেন?
উত্তর: চলমান উত্তেজনা কমিয়ে সংলাপের মাধ্যমে শান্তি ফেরানোর আহ্বান জানাতে।

প্রশ্ন ৩: আগের যুদ্ধবিরতি কেন ভেঙে যায়?
উত্তর: সীমান্তে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে থাই সেনা আহত হওয়ার পর থাইল্যান্ড চুক্তি স্থগিত করে।

প্রশ্ন ৪: এই সংঘাতের প্রভাব কারা বেশি অনুভব করছে?
উত্তর: সীমান্ত এলাকার সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত।

প্রশ্ন ৫: সমাধানে আসিয়ানের ভূমিকা কী হতে পারে?
উত্তর: আসিয়ান কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে আনতে পারে।